সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে বসেই শুনেছিলেন মোহনবাগানের নাম। জেনেছিলেন, ভারতের ফুটবল ক্লাবগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা ক্লাব এটি। তাই একদিন এই ক্লাবের জার্সি গায়ে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন শেষমেশ বাস্তবায়িত হয়েছে। তাই তাঁবুতে পা রেখেই বেশ চনমনে দেখাল দলের নয়া বিদেশি বিমল ঘারতি মগরকে।
বছর তিনেক আগে নেপালে খেলতে গিয়েছিল মোহনবাগান। সেবারই দলটাকে প্রথমবার সামনে থেকে দেখেছিলেন বিমল। তারপর থেকে টিভিতে নিয়মিত সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ম্যাচ দেখেন। যদিও বর্তমান দলের সদস্যরা সকলেই অচেনা। তবে প্রথম দেখাতেই ক্লাবকে ভালবেসে ফেলেছেন নেপালের এই তরুণ তুর্কি। প্রথমদিনই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। জানিয়ে দিলেন, নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ যেমন রয়েছে, তেমনই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বও পালন করবেন মন দিয়ে।
সোনি নর্ডি বিদায় নেওয়ায় মন খারাপ মোহনবাগান সমর্থকদের। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতেই সবুজ-মেরুন কর্তারা বেছে নিয়েছেন তরুণ ফুটবলারকে। যিনি ফরোয়ার্ড লাইনের পাশাপাশি উইংটাও সামলাতে পারবেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজন গতির। ভারতীয় ফুটবলে মগর একেবারেই নতুন। ফলত তাঁর স্কিল, দক্ষতা বিপক্ষককে সমস্যায় ফেলবে। অন্যদিকে তরুণ ফুটবলার হওয়ায় পরের মরশুমেও তাঁকে রেখে দেওয়া যেতে পারে। কর্তাদের এই দুরদর্শী সিদ্ধান্তের তারিফও করছেন সমর্থকরা। কিন্তু সোনির জায়গার আসার বাড়তি চাপ তো থেকেই যায়। ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর ভক্ত বিমল অবশ্য জানালেন কোনও চাপ নেই। বলেন, “মোহনবাগান ঐতিহাসিক ক্লাব। এখানে ভাল পারফর্ম করারই চেষ্টা করব। নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতানোই আমার লক্ষ্য। আর আক্রম-ডিকারা যেখানে ফরোয়ার্ডে রয়েছেন, সেখানে দলের সুবিধা মতো উইং বা অ্যাটাকিং মিডে খেলতেও আমার সমস্যা হবে না।”
এর পাশাপাশি বিমলের সংযোজনে আরও একটি সুবিধা পেতে চলেছে দল। পাহাড়ে হামেশাই ধাক্কা খায় সমতলের দল। বিমল জানালেন, পাহাড়ি আবহাওয়া ও পরিবেশে তিনি বেশ স্বচ্ছন্দ্য। তাই পরের ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ বিমলের সামনে। শিলংয়ের বিরুদ্ধে সোনির বদলি বাগানে ফুল ফোটাতে পারেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.