মহম্মদ শামি: ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ শামি তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। ফ্ল্যাটে একা থাকতে রীতিমতো ভয়ই করছে। পুলিশকে এমন কথা বলে নিজের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আরজি জানিয়েছিলেন স্ত্রী হাসিন জাহান। স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই কারণেই এবার হুমকি দিচ্ছেন শামি। এমন অভিযোগও করেন হাসিন। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়েও অভিযোগ এনেছেন তিনি। যার জেরে গোটা দেশের সামনে শামির ভাবমূর্তিতে রাতারাতি প্রশ্নচিহ্ন উঠে যায়। এমনকী শামির ক্রিকেটীয় স্বচ্ছতার তদন্তে নামে বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখাও। এতদিন স্ত্রীর সঙ্গে বসে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ারই চেষ্টা করছিলেন ভারতীয় পেসার। কিন্তু হাসিন তেমনটা চান না। নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, এখান থেকে আর ফিরবেন না। এবার যা করার পুলিশ, আদালত ও মিডিয়াই করবে। স্ত্রীর লাগাতার আক্রমণে ক্ষত-বিক্ষত শামি। আর তাই এবার হাসিনের বিরুদ্ধে পালটা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। জানালেন, নিজের প্রথম বিয়ে নিয়ে বড়সড় সত্যি গোপন করেছিলেন হাসিন।
২০১৪ সালে শামিকে বিয়ে করার আগে আরও একবার বিয়ে হয়েছিল হাসিনের। হুগলির বাসিন্দা এস কে সইফউদ্দিন ছিলেন হাসিনের প্রথম স্বামী। সেই পক্ষের দুই মেয়েও রয়েছে তাঁদের। যাদের মধ্যে একজন এখন দশম ও অন্যজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু শামির অভিযোগ, শুরুতে হাসিন নিজের প্রথম বিয়ের কথা গোপনই রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর দুই কন্যা সন্তান আছে, এ কথাও শামিকে বলেননি হাসিন। মেয়ে দুটির বিষয়ে শামি জানতে চাইলে হাসিন ও তাঁর পরিবার জানিয়েছিলেন, তারা নাকি হাসিনের প্রয়াত বোনের মেয়ে। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমকে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে শামি বলেন, “আমরা যখন বিয়ে করি তখন ওর প্রথম বিয়ের কথা কিছুই জানতাম না। পরে নিজেই পুরোটা বলেছিল। এমনকী দুই মেয়েকেও মৃতা বোনের সন্তান বলে পরিচয় দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত আমার বাবা জানেন, সত্যিই ওই দুই মেয়ে হাসিনের বোনঝি।” অর্থাৎ সম্পর্কের গোড়াতেই যে গলদ রয়ে গিয়েছিল, এখন সে অভিযোগই তুললেন শামি। আর এতেই যে তাঁদের দাম্পত্যজীবন জটিলতর হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, শামি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পরকীয়া, শারীরিক অত্যাচার এমনকী ধর্ষণেরও অভিযোগ তুলেছেন হাসিন। যার জেরে ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে ওঠা গড়াপেটার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.