সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের ৯১ টা বসন্ত পার করে ফেলেছেন। আজও সেই সোনালি দিনগুলি তাঁর স্মৃতি থেকে ফিকে হয়নি। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি ওলিম্পিকে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন কিংবদন্তি বলবীর সিং সিনিয়র। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দলকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। ভারতীয় হিসেবে ওলিম্পিকের ফাইনালে পাঁচ গোল করার রেকর্ড আজও অক্ষুণ্ন। ১৯৪৮ লন্ডন ও ১৯৫৬ মেলবোর্ন ওলিম্পিকেও সোনা জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। দেশকে সেরার আসনে বসিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী যুগে আরও স্পেশাল করে তুলেছিল সেই হকি দল। হকি স্টিকের প্রতিটা শট যেন দীর্ঘ নিপীড়নের প্রতিশোধ নিয়েছিল।
তারপর আরও দু’বার ভারতীয় দলকে সোনা জিততে দেখেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ ৩৬ বছর হকিতে ভারতের লাগাতার ব্যর্থতায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। সোনা তো দূর, একটা ব্রোঞ্জও জোটেনি। যত দিন যাচ্ছে, বর্ষীয়ান বলবীরের চোখের খিদেও বেড়ে চলেছে। জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁর একটাই ইচ্ছা। ওল্টমান্সের ছেলেদের হাতে একটা সোনার পদক দেখতে চান তিনি।
হকিতে আটটা সোনাজয়ী দল গত সাতটা ওলিম্পিকে চূড়ান্ত ব্যর্থ। তবে বলবীর মনে করেন ওল্টমান্সের হাত ধরে ফিরবে সেই সুবর্ণ যুগ। তাঁর আশা এবার পদকের খরা কাটিয়ে উঠতে সফল হবেন শ্রীজেশরা। বহু বছর আগে হকিকে বিদায় জানালেও বর্তমান দলের হাঁড়ির খবর তাঁর জানা। বলছিলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এবার আমরা একটা পদক জিতবই। ভারতকে হকিতে আরেকটা সোনা জিততে দেখাই আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা।”
‘মেন ইন ব্লু’-কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “শ্রীজেশরা এবার খুব পরিশ্রম করেছে। শুধু আক্রমণ ভাগ শক্তপক্ত করলেই হবে না, ডিফেন্ডারদেরও সবসময় তৈরি থাকতে হবে। জয়ের জন্য ওরা নিজেদের সেরাটা দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, কোচ হিসেবেও দলকে পদক এনে দিয়েছেন বলবীর। ১৯৭১ ও ১৯৭৫ হকি বিশ্বকাপে দলকে ব্রোঞ্জ ও সোনা জিতিয়েছিলেন কোচ বলবীর। এবার পদক জিতে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনকে সম্মান জানানোর পালা। শ্রীজেশরা কি পারবেন? সেই উত্তরের খোঁজ শুরু হবে আগামী শনিবার থেকে। সেদিনই রিওতে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওলিম্পিক অভিযান শুরু ভারতীয় দলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.