ভারত- ২০২/৬ (রায়না ৬৩, ধোনি ৫৬, যুবরাজ ২৭, মিলস ৩২/১)
ইংল্যান্ড- ১২৭ রানে অল আউট (রুট ৪২, মর্গ্যান ৪০, চহল ২৫/৬)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। সেই প্রবাদ কিন্তু রোজ সত্যি প্রমাণ করে দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্যাপ্টেন্সি ছে়ড়ে দিয়ে আরও যেন বয়স কমে গিয়েছে মনে হচ্ছে মাহির। বুধবার বেঙ্গালুরুর চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সেই পুরনো মাহির ঝলক ফের একবার দেখলেন সমর্থকরা। ব্রিটিশ বোলিংকে ছাতু করে জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। এই দৃশ্য দেখার পর বেশ আফসোস হচ্ছিল। বলা যায় না, হয়তো এমন ধামাকেদার ইনিংস খুব বেশিদিন দেখতে পাওয়া যাবে না। তবুও যতদিন তিনি খেলছেন ততদিন এইভাবেই যেন দর্শকদের বিনোদন করে যান।
এদিন টসে জিতে প্রথম বোলিং নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মর্গ্যান। ওপেন করতে নেমে এদিন মাত্র দু’রান করে আউট হয়ে যান ক্যাপ্টেন কোহলি। এরপর আরেক অপেনার কে এল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়তে শুরু করেন সুরেশ রায়না। বহুদিন পর পুরনো রায়নার ঝলক পাওয়া গেল এদিন। রাহুল ২২ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেও খেলা চালিয়ে যান রায়না। পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চারে সাজানো তাঁর ইনিংস শেষ হয় ৬৩ রানে। ততক্ষণে সুবিধেজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ক্রিজে তখন ধোনি এবং কামব্যাক বয় যুবরাজ। এরপর শুরু হল সেই ভিন্টেজ মাহি-যুবি ধামাকা। ব্রিটিশ বোলিংকে একসময় অসহায় লাগছিল দু’জনের বুম বুম ব্যাটিংয়ের সামনে। ইংল্যান্ডের জর্ডনের এক ওভারে তিনটি ছয় এবং একটি চার মারেন যুবি। নিজের পুরনো ফর্ম ফিরে পেয়ে এদিন বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছিল তাঁকে। কিন্তু সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ১০ বলে ২৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ফের মাহির কাঁধে এসে বর্তায় ব্যাটিংয়ের ভার। শেষে ৫৬ রানে আউট হয়ে লড়াই ছাড়েন মাহি। ২০ ওভারে ভারত তোলে ২০২ রান ৬ উইকেটে।
এই পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় মর্গ্যানবাহিনী। চহলের বলে ০ রানে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ইংল্যান্ডের ওপেনার বিলিংস। ইনিংসের হাল ধরেন রয় এবং জো রুট। একসময় বেশ মেরে খেলছিলেন দু’জনে। যা দেখে মনে হচ্ছিল ২০২ রানও বোধহয় কম পড়বে। কিন্তু ৩২ রানের মাথায় অমিত মিশ্রর বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন রয়। দৌড়ে গিয়ে সেই ক্যাচ ধরেন ধোনি। বয়স যাঁর কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। এরপর অধিনায়ক মর্গ্যানের সঙ্গে পার্টনারশিপ তৈরি করতে শুরু করেন রুট। ভালই খেলছিলেন দু’জনে। কিন্তু ওই যে স্পিনের সামনে ইংল্যান্ডের পুরনো রোগ বারবার ধরা পড়ে যায়। এদিনও তাই হল। তরুণ লেগস্পিনার চহল এক ওভারে ফেরত পাঠান রুট ও মর্গ্যানকে। এরপর একের পর এক ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিং রুমে ফেরত যাওয়ার তাড়া। একসময় ১২৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় ইংল্যান্ডের। ছয় উইকেট নেন চহল। আগামিদিনে ভারতীয় দলে নিজের জায়গা পাকা করে ফেললেন আইপিএল থেকে উঠে আসা এই তরুণ ক্রিকেটার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের জেরে শেষপর্যন্ত রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১-এ জিতে নেয় কোহলির ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.