সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ক্রীড়াক্ষেত্রে লালসার শিকার নাবালিকা। তিন কনস্টেবলের হাতে নিগৃহীত হতে হল নাবালিকা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ছত্তিশগড়ের কোন্দাগাঁও জেলায়। তিন টেবিল টেনিস খেলোয়াড়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল তিন আইটিবি কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে ছত্তিশগড় পুলিশ। তিন অভিযুক্তই মাও অধ্যূষিত কোন্দাগাঁওয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রহরার দায়িত্বে আছেন, তাঁরা ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের ২৯ নং ব্যাটালিয়নের সদস্য বলেও জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। নির্যাতিতা নাবালিকাদের অভিযোগ, বিকেলে তাঁরা যখন অনুশীলন সেরে ফিরছিলেন তখন তাদের লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে তিন কনস্টেবল মণীশ কুমার, নগেন্দ্র ভাগর ও প্রভু দয়াল। তাদের ফোন নম্বর চাওয়া হয়, দেওয়া হয় কুপ্রস্তাব। নিকটবর্তী ক্যাম্পে যাওয়ারও জন্য জোর করা হয় বলে অভিযোগ তিন নাবালিকা টেনিস খেলোয়াড়ের। নিরাপত্তারক্ষীদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাদের সঙ্গে জোর জবরদস্তি করারও চেষ্টা করে কর্তব্যরত আইটিবিপি কনস্টেবলরা। বিপদে পড়ে চিৎকার করেন এক নির্যাতিতা। তাঁর চিৎকার স্থানীয়রা চলে এলে পালিয়ে যায় তিন কনস্টেবলই।
এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিন টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং পকসো আইনের ১১ ও ১২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের মধ্যে ১ জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছিলেন, ফলে দোষী প্রমাণিত হলে এসসি-এসটি আইনেও শাস্তি পেতে হতে পারে অভিযুক্তদের। ছত্তিশগড় পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, নাবালিকা তিন টেবিল টেনিস তারকার করা অভিযুক্তদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন তারা। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। কোন্দাগাঁওয়ের পুলিস সুপার অভিষেক পল্লভ জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তিন নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন কনস্টেবলকে।’ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় নিরাপত্তার নামে তাদের উপর রীতিমতো উৎপাত চালানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.