আলাপন সাহা: গৌতম গম্ভীরের আমলে কেকেআর নিজেদের আইপিএলের প্রথম সারির দলের মধ্য প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল তার অন্যতম কারণ ছিল ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করা। তিন বিশ্বমানের স্পিনারকে কাজে লাগিয়ে ইডেনকে নিজেদের দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিল নাইটরা। কিন্তু, গত দু’বছরে সেই ধারা বদলে গিয়েছে। কলকাতার পিচ আর স্পিনারদের সাহায্য করে না। পেসাররা তবু কিছুটা সুবিধা পান, কিন্তু স্পিনারদের জন্য এ যেন সাক্ষাৎ যমপূরী। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের মাঠে নিজেদের সেরা অস্ত্রকে কাজে লাগাতে পারছে না কেকেআর। আর তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ নাইট শিবির।
কেকেআর সিইও ভেঙ্কি মাইসোর পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, এবারের ইডেনের উইকেট নিয়ে তারা প্রচণ্ডরকম অখুশি। বললেন, “সিএবি প্রেসিডেন্ট, কিউরেটরের সঙ্গেও কথা বলব, যাতে হোম টিম কিছুটা ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পায়। অনেক টিমই সেটা পেয়ে এসেছে। শুরুতে হোম কন্ডিশন দেখেই টিম করেছি। কারণ এখানেই আমাদের সাতটা ম্যাচ খেলতে হবে। তবে সঙ্গে এটাও স্বীকার করে নিচ্ছি, আমরা নিজেদের পোটেনশিয়াল অনুযায়ী খেলতে পারিনি।” কেকেআর সিইও-র পাশে বসে কোচ জাক কালিস তা সমর্থন করে গেলেন। বললেন, “গত দুই-তিন বছরে ইডেনের উইকেটের চরিত্র বদলেছে। সেটা পার্থক্য করে দিচ্ছে। কিন্তু দিনের শেষ দুটো টিমই একই উইকেট খেলেছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। মুম্বই ম্যাচও শেষ ওভার পর্যন্ত গেল। আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে।”
তবে ভেঙ্কি ইডেন পিচ নিয়ে যাই বলুন না কেন, সিএবি তেমন গুরুত্ব দিতে চাইছে না। বলা হচ্ছে, গত দু’তিনবছর ধরেই ইডেনের উইকেটের এরকমই হচ্ছে। এখানে ভাল পেসারের প্রয়োজন। কিন্তু সেসব জানা সত্ত্বেও নিলামে তারা ভাল পেসার নেয়নি। বলা হচ্ছে, নিলাম গিয়ে কেকেআর লকি ফার্গুসনকে (যাঁকে তিন-চারটের বেশি ম্যাচে খেলানো যাচ্ছে না) কিনতে পারে। অথচ মহম্মদ সামির মতো পেসারের জন্য বিড করতে পারে না। কেকেআর সিইও-কে এটাও প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি পরের বার আপনারা অন্য কোনও ভেন্যুতে দুটো-তিনটে ম্যাচ খেলার কথা ভাবছেন? ভেঙ্কি অবশ্য সে সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেন, “এখানে যে ভালবাসা-সাপোর্ট পেয়েছি, তার সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হবে না। টানা ম্যাচ হারছিলাম, তারপরও প্রত্যেকটা ম্যাচে গ্যালারি পুরো ভরে গিয়েছিল। ওরা ভরসা হারায়নি। ”
যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে কেকেআরের প্লে অফ যাওয়ার সম্ভাবনা যে শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটা বলা যাবে না। দীনেশ কার্তিকরা যদি শেষ দুটো ম্যাচ জেতেন, আর অন্য টিমগুলো হারে তখন প্লে অফে যেতেই পারে কেকেআর। কালিস বললেন, “ওই হারগুলো থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.