স্টাফ রিপোর্টার: ছুটির দিনটা শুরু হয়েছিল বনশ্রী সেনগুপ্তর মৃত্যু দিয়ে৷ রাত শেষ হওয়ার আগে প্রয়াত হলেন আরও এক কিংবদন্তি৷ সত্তর দশকের সবচেয়ে ফ্ল্যামবয়েন্ট গোলকিপার, পেলের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে আরও বিখ্যাত হয়ে যাওয়া শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকা চলে গেলেন মহাপ্রয়াণে৷ বয়স হয়েছিল ষাট বছরের সামান্য বেশি৷
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে শুরু হবে কিংবদন্তি ফুটবলারের শেষ যাত্রা৷ সল্টলেকের বাড়িতে ঘণ্টাখানেক রাখা হবে মৃতদেহ৷ তারপর এজেসি বোস রোডে যে দৈনিকের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন সেই অফিসে আনা হবে প্রয়াত গোলরক্ষককে৷ দুপুরে দেহ আসবে মোহনবাগান ক্লাবে৷ সকাল থেকেই অর্ধনমিত ক্লাবের পতাকা৷ ক্লাবের পতাকা ও ফুলে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে ‘পেনাল্টি সেভার’-কে৷
মোহনবাগানের টেকনিক্যাল কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি৷ রবিবার রাতে বিওএ সেক্রেটারি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন৷ সেখান থেকে যান সিআইটি রোডে বন্ধুর বাড়ি৷ সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ শোনা যায়, বন্ধুর বাড়িতে বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ না বেরনোয় বাকিরা ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে ঢুকে দেখেন শিবাজী পড়ে আছেন৷ দ্রুত তাঁকে নিকটবর্তী চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷ মধ্যরাতে ময়দান মহলে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর৷ মোহনবাগান ফ্যানস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়৷ রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে বিধায়ক সুজিত বসু সকলেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷ অরূপ বলছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম খবরটা দেন৷ উনি শোকজ্ঞাপন করেছেন৷” শিবাজির ছেলে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার পুরনো কথা টেনে আনছিলেন৷ তাঁকে শিবাজি নাকি বলতেন, “দ্যাখ, তোর চেয়ে আমি এখনও অনেক ফিট৷” শান্তনু বলছিলেন, “বাবা যে এ ভাবে চলে যাবেন, ভাবতে পারিনি৷” মুষড়ে পড়েছে ময়দানের একাংশও৷ পেলের ফ্রিকিক এবং টাইব্রেকারে মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে শিবাজি যে ইমেজারি তৈরি করে গেলেন, তা অবশ্য মৃত্যুতে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার নয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.