ইস্টবেঙ্গল ২ (কোলাডো, জবি)
মোহনবাগান ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বিতে প্রতীক্ষিত জয় এবারেও পেলেন না খালিদ জামিল। যুবভারতীতে রবিবার জ্বলল লাল হলুদ মশাল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে লিগ জয়ের লড়াইয়ে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, এই ম্যাচে হারের ফলে লিগের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল মোহনবাগান। এর আগে ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকাকালীন কখনও ডার্বি জেতেননি খালিদ। মোহনবাগানের দায়িত্ব নিয়েও সেই জয় অধরাই রয়ে গেল।
প্রথমার্ধে খানিকটা খেলার গতির বিপরীতেই এগিয়ে যায় লাল হলুদ শিবির। একসময় অবশ্য অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল মোহনবাগানকে। কিন্তু, কাজের কাজ করে গেল ইস্টবেঙ্গলই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কোলাডোর গোলে এগিয়ে যায় আলোজান্দ্রের ছেলেরা। তবে, সব মিলিয়ে প্রথমার্থে টানটান ম্যাচ উপভোগ করেছেন সমর্থকরা। দুই পক্ষই বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায়। ইস্টবেঙ্গল যেখানে জবি, লালডানমাওইয়া, কোলাডোদের নিয়ে একসঙ্গে আক্রমণে উঠছিল, সেখানে মোহনবাগানের দায়িত্ব ছিল একা সোনির উপরেই। হেনরি-ডিকারা চেষ্টা করলেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। এদিন ম্যাচের আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে ছিটকে যান ইউতা। তাঁর অভাবটা মারাত্মকভাবে ভোগাল মোহনবাগানকে। মাঝমাঠের দখল পুরোপুরি চলে গেল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। এর জেরেই ভুগতে হল মোহনবাগানকে।
দ্বিতীয়ার্ধে, অবশ্য খেলার ঝাঁজ ছিল প্রথমার্ধের তুলনায় অনেকটা বেশি। পরপর ফাউল, হলুদ কার্ড, এসব তো ছিলই, একাধিকবার নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দু’দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায় মোহনবাগানের গোল। কর্নার থেকে গোল করেছিলেন ডিকা। এই অফ সাইডের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মোহন সমর্থকরা। এর ঠিক ২০ মিনিট পর ইস্টবেঙ্গলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন জবি জাস্টিন। বাঁ প্রান্ত থেকে আসা কর্ণার থেকে দুর্দান্ত গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন জবি। প্রথম ডার্বিতেও নজর কেড়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ বছর পর আইলিগের দুটি ডার্বিই জিতল লাল হলুদ শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.