সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিনি যখন নামছেন গ্যালারি থেকে তুমুল হাততালি। ‘মেহতাব…মেহতাব’ চিৎকার। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেললেও মোহনবাগান তখন রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে। কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী শিল্টল ডি’ সিলভার জায়গায় মেহতাবকে নামাচ্ছেন। মোটামুটি সবাই ধরেই নিয়েছে তিনি আসায় চাপ কিছুটা কমবে। কিন্তু দু’মিনিটের মধ্যেই চোট পেলেন। যন্ত্রণায় মাঠে কাতরাচ্ছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি হয়তো আর খেলতে পারবেন না। সেটাই হল। মাঠের বাইরে বসে কেঁদে ফেললেন মেহতাব। আসলে এই ম্যাচটা তাঁর কাছেও অনেক কিছু প্রমাণের ছিল। জবাব দেওয়ার ম্যাচ ছিল। কিন্তু এভাবে চোট পেয়ে বাইরে চলে যেতে হবে সেটা ভাবতে পারেননি।
তবে ম্যাচ শেষে কিছুটা স্বস্তি। ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, মেহতাবের চোট তেমন গুরুতর নয়। ম্যাচ শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এক্স রে করাতে। রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা জানান, মেহতাবের হাত ভাঙেনি। তবে বাঁ হাতের কনুইয়ে চোট লেগেছে। লিগামেন্টের এই চোট কিছুদিন বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়।
এদিকে মোহনবাগান কর্তারা আইএফএ কর্তাদের আচরণে ক্ষুব্ধ। সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্টের অভিযোগ হল, ফুটবলাররা যখন মাঠে ওয়ার্ম-আপ করে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন তখন দেখেন বাথরুমে জল নেই। তার উপর মাঠে মেহতাবের চোট লাগার পর অ্যাম্বুল্যান্স যখন খোঁজা চলছে তখন দেখা যায় ড্রাইভার নেই। এই ব্যাপারে আইএফএ-কে জানিয়েছে মোহনবাগান।
রবিবারের ম্যাচকে কার্যত লিগ ফাইনাল ধরা হয়েছিল। ডার্বি যার লিগ তার। কিন্তু চার গোলের থ্রিলার শেষে ডার্বির মতোই কলকাতা লিগের মীমাংসা হল না। বরং অঙ্কের খেলায় পরিণত এখন স্থানীয় লিগ খেতাব। দুই প্রধানেরই বাকি আর তিন ম্যাচ। তবে কলকাতা লিগের অঙ্কের খেলায় এখনও অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান। আইএফএ-র নিয়ম অনুযায়ী যদি প্রথম দু’দলের পয়েন্ট আর গোলপার্থক্যও সমান থাকে লিগ শেষে, তখন সেক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন হবে সেই দল যারা বেশি গোল করেছে। যে অঙ্কে এখনও পাল্লা ভারী মোহনবাগানের। লিগে দু’দলেরই আপাতত ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট। কাকতালীয় ভাবে দু’দলের গোলপার্থক্যও একই। ১৩-১৩। ডার্বি ড্রয়ে আবার লিগের অঙ্কে টিকে থাকল আর এক দলও। পিয়ারলেস। যাদের হাতে এখনও পাঁচ ম্যাচ আছে। ৬ ম্যাচে পিয়ারলেসের পয়েন্ট ১৩।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.