স্টাফ রিপোর্টার: বক্সের আশপাশে একদম ফাউল করো না। ফুটবলারদের এই ধরনের বার্তা দিয়ে থাকেন যে কোনও কোচ। যাতে প্রতিপক্ষ পেনাল্টি বা ফ্রিকিক থেকে কোনও বাড়তি সুবিধা তুলতে না পারে। মোহনবাগানে বর্তমান যা অবস্থা, তাতে শিলং লাজং ম্যাচের আগে কিংসলে, অরিজিৎদেরও এই নির্দেশিকা দিয়ে রাখল মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। বক্সের কাছে ফাউল না করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি কথা বলা হয়েছে ফুটবলারদের। যেমন অফসাইড ট্র্যাপ করা যাবে না। এবং কিছুতেই রেফারির সঙ্গে তর্ক করা যাবে না। মোহনবাগান ধরেই নিয়েছে এগারো নয়, খেলতে হবে ১৪ জনের বিরুদ্ধে।
আসলে শেষ কয়েকটি ম্যাচে বারবার রেফারির সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এমনটাই মনে করছে মোহনবাগান। নতুন করে রেফারির কোনও সিদ্ধান্তে যাতে দল সমস্যায় না পড়ে তাই এই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি বড় ম্যাচে হতাশার পর মিনার্ভাকে হারিয়ে যে আত্মবিশ্বাস দলে এসেছে, তাকে আরও জোরাল করাকেই পাখির চোখ করছে গঙ্গাপারের ক্লাব। তাই বিদেশিহীন শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে যে কোনও উপায়ে তিন পয়েন্ট পেতে চাইছে দল। তাছাড়া শনিবার রিয়াল কাশ্মীর চেন্নাই সিটি এফসিকে হারিয়ে দেওয়ায় রবিবার জিতলে তালিকায় ছয় থেকে চারে উঠে আসবে দল। এই সুযোগ কিছুতে হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউ।
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে খুব একটা ভাল জায়গায় নেই শিলং লাজং। তারা শেষ ম্যাচ খেলেছে ১১ ডিসেম্বর। ভুস্বর্গে সেদিন ১-৬ গোলে হারে ‘শেষের কবিতা’র শহর। একে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের ধাক্কা, তার উপর দীর্ঘদিন ম্যাচ না খেলায় তাদের মনোযোগে চিড় ধরে থাকা। চারদিক থেকে এমন বেকায়দায় থাকা দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণের রোড রোলার চালাতে চাইছে মোহনবাগান। ফুটবলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিছুতেই গোল হজম করা যাবে না। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোল তুলে নিতে হবে। লাজং ম্যাচের আগেরদিন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী বলছিলেন, “মিনার্ভাকে হারানোর পর ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এসেছে। যেভাবেই হোক এটা ধরে রাখতে হবে। আমার তিন পয়েন্ট চাই-ই চাই।” সঙ্গে জুড়লেন, “লিগের মজা হচ্ছে টেবিলে যে কোনও সময় পরিবর্তন আসে। দু’একটা ম্যাচ টানা জিতলেই খাদ থেকে চূড়ায় ওঠা যায়। তাই ছেলেদের শুধু বলি ধৈর্য রাখতে। তাহলেই সব হয়ে যায়।”
সাসপেনশন কাটিয়ে রবিবার দলে ফিরছেন কিংসলে। কিমার সঙ্গে তিনিই থাকবেন রক্ষণের দায়িত্বে। রবিবার হয়তো গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখতে হবে শিল্টন পালকে। মরশুমের শুরুতে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল গতবার আই লিগের সেরা গোলরক্ষকের সম্মান পাওয়া শিল্টনকে। মাঝেমধ্যেই তাঁকে বসতে হয়েছে বেঞ্চে। তবে এবার হয়তো সেখানেও জায়গা হচ্ছে না তাঁর। এরই সঙ্গে অন্য এক চিন্তাও থাকছে মোহনবাগান কোচের মাথায়। মরশুমে এখনও পর্যন্ত ঘরের মাঠে জিততে পারেননি তাঁরা। তিনটে ম্যাচের দু’টি ড্র। চার্চিলের বিরুদ্ধে হার। রবিবারে তাই রেকর্ড বদলানোর ম্যাচ বাগানের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.