সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মরশুমের প্রথম ডার্বিতে খেলতে নামবে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। বলতে গেলে শিলিগুড়ি এখন মিনি ময়দান। কলকাতা থেকে শনিবারই সেখানে পৌঁছতে শুরু করেছেন দু’দলের সমর্থকরা। কোথাও টিকিটের জন্য লম্বা লাইন, কোথাও আবার চুটিয়ে বিক্রি হচ্ছে দুই ক্লাবের জার্সি-পতাকা। অর্থাৎ ডার্বি জ্বরে পুরোপুরি কাবু শিলিগুড়ি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়।
খাতায় কলমে অনেকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডকে এগিয়ে রাখলেও কেউ কেউ আবার বলছেন, যে দলে সোনি-কাটসুমি-প্রীতম-জেজেদের মতো খেলোয়াড় রয়েছেন, ডাফির মতো গোলগেটার রয়েছেন, তাঁদের কখনই পিছিয়ে রাখা যায় না। বাগান খেলোয়াড়রা যেন ভিতরে-ভিতরেই ফুটছেন। শরীরীভাষায় তাঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, খেলাটা মাঠে হবে। মাঠের বাইরে নয়। তবে প্রশ্ন কিছুটা রয়েছে বাগানের রক্ষণ নিয়ে। যেখানে দুই ডিপ-ডিফেন্ডার ব্রাজিলিয়ান এডুয়ার্ডো এবং আনাসের এটাই প্রথম ডার্বি। তবে সে ব্যাপারে ভাবতে নারাজ বাগান কোচ সঞ্জয় সেন। ম্যাচের আগের দিন বলেন, ‘একসঙ্গে কেউ জন্মায় না। খেলেও না। ভাববো কেন?’ এদিকে, যাঁকে নিয়ে ডার্বি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাগান সমর্থকরা, সেই সোনি নর্ডি অবশ্য ম্যাচের আগেরদিন কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বললেন না। এই প্রসঙ্গে সহসচিব সৃঞ্জয় বোস বলেন, ‘সোনি এতটাই সিরিয়াস যে হোটেলে কারও সঙ্গে কথাই বলছে না। এরকম সিরিয়াস থাকাটা তো ভালই।’ পরে সোনিও বলেন, ‘সব ম্যাচের আগেই আমি এরকম সিরিয়াস থাকি। চোটটা এখন অনেক ভাল। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি যেন সব কিছু ঠিকঠাক হয়।’
এদিকে, গোটা শিলিগুড়ি বলতে গেলে লাল-হলুদ সমর্থকদের অধীনে চলে গেছে। ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ। ম্যাচের আশি শতাংশ টিকিট পেয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরাই। তাই সমর্থনের দিকে থেকে ইতিমধ্যে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। উল্টোদিকে, বিশেষজ্ঞরা তাঁদের এগিয়ে রাখলেও মেহতাবরা তাতে গা ভাসাতে নারাজ। অনেক ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়রাই জানিয়েছেন, এই ম্যাচটি আর পাঁচটি আইলিগ ম্যাচের মতোই। তবে ডার্বির কিছুটা চাপ তো রয়েইছে। কারণ এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের প্রত্যাশা সবসময়ই বেশি। এই ম্যাচে কেউই এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকে না। মোহনবাগানে যেমন এডু-ডাফি, ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে তাদের তিন বিদেশিরই এটা প্রথম ম্যাচ। পাশাপাশি রবিবার দলের সঙ্গেই থাকবেন নতুন আসা চতুর্থ বিদেশি ক্রিস্টোফার পেইন। তবে সবেমাত্র আসায় তাঁকে হয়তো খেলাবেন না মর্গ্যান। ওয়েডসন-প্লাজা-বুকেনিয়া ডার্বির চাপ সামলাতে পারবেন তো? এই প্রশ্নের উত্তরে মর্গ্যান বলেন, ‘ওরা প্রত্যেকেই বড় বড় লিগে খেলেছে। আগেও অনেক বড় ম্যাচ খেলেছে। তাই আমি সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না।’ তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশাবাদী ওয়েন রুনি ফাউন্ডেশনের পাঠানো বুট পরে আজ মাঠ মাতাবেন উইলিস প্লাজাই। এখন দেখার গত মরশুমে ডার্বিতে চারগোল করা ডো ডং হিউনের জায়গায় লাল-হলুদ জনতার নয়নের মণি হয়ে উঠতে পারেন কি না ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ফুটবলারটি। এছাড়া নজর থাকবে দুই হাইতিয়ান ওয়েডসন এবং সোনি নর্ডির দ্বৈরথের দিকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.