সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনিল কুম্বলের পর ভারতীয় দলের ‘হেডস্যার’ কে হবেন? সোমবারই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু বিরাটদের কোচের নাম ঘোষণার জন্য আরও খানিকটা সময় চেয়ে নিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “শুধু শ্রীলঙ্কা সফরের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না, সামনে বিশ্বকাপও রয়েছে। তাই কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করতে চাইছি না। আমরা ঘোষণার আগে আরও কয়েকটা দিন আলোচনা করে নিতে চাই।”
কুম্বলে থাকাকালীনই কোচ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মধ্যেই কোহলি ও জাম্বোর মধ্যে দূরত্ব সাফ চোখে পড়েছিল। কুম্বলে জমানায় দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ বেশ ভালই ছিল। আর তাই শচীন-সৌরভ-লক্ষ্মণের উপদেষ্টা কমিটি কুম্বলেকেই ক্যারিবিয়ান সফর পর্যন্ত কোচ হিসেবে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় কিংবদন্তি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতেই সমস্ত সমীকরণ পালটে যায়। মনের মধ্যে হাজার হতাশা নিয়েই দলের ভালর কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় বিদায় নেন কুম্বলে। কিন্তু পরবর্তী কোচ নিয়ে ধোঁয়াশা এদিনও কাটল না। সৌরভ জানালেন, কোচ ঘোষণার আগে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলতে চান তাঁরা।
সোমবার মুম্বইয়ে কোচ নির্বাচনের বৈঠক বসে। এদিন দুপুরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে ইন্টারভিউ পর্ব। ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনকে বেছে নেওয়া হয় ইন্টারভিউর জন্য। তবে কোচ হওয়ার লড়াইয়ে মূলত তিনজনের পাল্লাই ভারী। রবি শাস্ত্রী, বীরেন্দ্র শেহবাগ এবং টম মুডি। এঁদের মধ্যে অবশ্য অবিসংবাদী ফেভরিট ছিলেন শাস্ত্রী। বিরাট কোহিলির ভোট যে তাঁর দিকেই, তা ক্রিকেটমহলের কাছে অজানা ছিল না। টিম ডিরেক্টর থাকাকালীন ধোনি-কোহলি সবার সঙ্গেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল রবির। বোর্ড সূত্রে খবর ছিল, শাস্ত্রীকে কোচ করা হবে বলেই নাকি আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। প্রথমে অবশ্য শাস্ত্রী আবেদন করতে রাজি ছিলেন না। শোনা যায়, শচীন তেণ্ডুলকর তাঁকে বোঝানোর পর শেষমেশ কোচ হওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দেন তিনি। ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির বাকি দুই সদস্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর ভিভিএস লক্ষ্মণ মুম্বইয়ে থাকলেও, শচীন ছিলেন স্কাইপে। ইংল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাই কোচেদের ইন্টারভিউতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই উপস্থিত ছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের মধ্যেই কোচ নিয়ে কোহলির মতামত জানতে জামাইকা উড়ে গিয়েছিলেন বোর্ড সিইও রাহুল জোহুরি। ভারত অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলার পরই বোর্ড কোচেদের তালিকা ছোট করে বলে জানা গিয়েছিল। তবে কোচ নির্বাচনের বিষয়টি উপদেষ্টা কমিটির হাতেই ছেড়ে দিয়েছিল বিসিসিআই। সময় মতোই কমিটির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেহবাগ ও টম মুডি। তবে স্কাইপির মাধ্যমেই শচীন-সৌরভ ও লক্ষ্মণের সামনে হাজির হয়েছিলেন শাস্ত্রী। তবে কোচ নির্বাচনে কি বিরাটই শেষ কথা বলবেন? সৌরভের কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত পাচ্ছে ক্রিকেটমহল। আর তেমনটা হলে শাস্ত্রীর পাল্লাই ভারী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.