ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতভর অমানুষিক পরিশ্রম করে ওজন কমানোর চেষ্টা করেছিলেন ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat)। তাঁর এই পরিশ্রম দেখে একটা সময়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ভিনেশের কোচ ওলার আকোস। তাঁর মনে হয়েছিল, এভাবে চলতে থাকলে ওই রাতেই হয়তো মৃত্যু হবে ভিনেশের। নিজের ফেসবুকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ভিনেশের কোচ। পরে অবশ্য এই পোস্ট মুছে ফেলেন তিনি।
মাত্র ১০০ গ্রাম বাড়তি ওজন থাকায় অলিম্পিকের ফাইনালে নামার অনুমতি পাননি ভিনেশ। পরে জানা যায়, সারারাত ধরে ওজন কমাতে চেষ্টা করেছিলেন তারকা কুস্তিগির। ওজন কমানোর জন্য ভিনেশকে জগিং, স্কিপিং এবং সাইক্লিং করানো হয়েছিল সারারাত। কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। এমনকী পর্যাপ্ত জলও দেওয়া হয়নি। তাতে ওজন অনেকটা কমেও যায়। রাতভর পরিশ্রম, খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত জল না খাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ভিনেশ। তাঁকে ভরতি করা হয় গেমস ভিলেজের হাসপাতালে।
চোখের সামনে ছাত্রীর এমন অমানুষিক পরিশ্রম দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওলার আকোস। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “সেমিফাইনালের পরে ২.৭ কেজি ওজন বেড়ে যায় ভিনেশের। এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে টানা এক্সারসাইজ করেও দেড় কেজি ওজন বেশি ছিল। ৫০ মিনিট সনা বাথ করিয়েও ওজন কমেনি। আর কোনও উপায় ছিল না। মাঝরাত থেকে শুরু করে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্ডিও মেশিন এবং কুস্তির প্যাঁচ করে ভিনেশ। প্রতি ঘণ্টায় মাত্র দু-তিন মিনিট করে বিশ্রাম নিত।”
রাতভর এমন অমানুষিক পরিশ্রম করে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন ভিনেশ। তাও কোনওমতে তাঁকে তুলে নিয়ে ফের সনায় বসানো হয়। এসব দেখেই ভিনেশের কোচের মনে হয়েছিল, তাঁর ছাত্রী হয়তো আর প্রাণে বাঁচবেন না। বারবার এই আশঙ্কাই কুরে কুরে খাচ্ছিল তাঁকে। ভয়াবহ সেই রাতের অভিজ্ঞতা নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন ভিনেশের কোচ। তবে কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের ফেসবুক থেকে সেই পোস্ট সরিয়েও নেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.