সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে শখ করে BMW 3 গাড়িটা কিনেছিলেন ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ (Dutee Chand)। খরচ পড়েছিল ৩০ লক্ষ টাকা। প্রিয় গাড়িটির সঙ্গে অনেক ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বড্ড পছন্দের ছিল সেই গাড়ি। কিন্তু মারণ করোনার থাবায় এবার সেই সাধের BMW বিক্রির কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলতে হল দেশের সোনাজয়ী অ্যাথলিটকে।
আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে জায়গা করে নেওয়ার জন্য পরিশ্রমে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না দ্যুতি। কিন্তু করোনা আবহে অমিল স্পনসর। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে খেলার দুনিয়া স্তব্ধ থাকায় কোনও স্পনসরই সাহস করে এগিয়ে আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে অর্থের অভাব যেন কোনওভাবেই প্রশিক্ষণে প্রভাব না ফেলে। সেই সংকল্প করেই গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় তারকা অ্যাথলিট। দ্যুতির কথায়, “করোনা (Coronavirus) মহামারীর জেরে সব ধরনের প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। অলিম্পিকের স্পনসরশিপও নেই। গত কয়েক মাসে জমানো অর্থ শুধু খরচই হয়েছে। আয় কিছুই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন কোনও স্পনসরও জুটবে না। তাই হাতে একটাই উপায়। গাড়িটা বিক্রি করে দেওয়া।”
কেন্দ্র সবুজ সংকেত দেখালেও এখনও অ্যাথলিটদের মাঠে নেমে অনুশীলনের অনুমতি দেয়নি ফেডারেশন (AFI)। ফলে ফেডারেশনের তরফেও কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না দ্যুতি। তাছাড়া অলিম্পিকের দিনক্ষণ এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় স্পনসররাও ইতিমধ্যেই তাদের খরচের ঝাঁপি উজার করে দিয়েছে। একটি স্পনসরের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ রয়েছে এবছর ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে নতুন করে আর স্পনসর মেলা বেশ কঠিন। তাই গাড়ি বিক্রি ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই দ্যুতির সামনে। যদিও সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে গাড়ি বিক্রির পোস্ট দিয়ে পরে তা মুছে ফেলেন তিনি।
সম্প্রতি অর্জুনের জন্য ফেডারেশনের তরফে মনোনীত করা হয়েছে এশিয়ান গেমসে জোড়া পদকজয়ী এই স্প্রিন্টারকে। যা তাঁকে দেশের হয়ে আরও পদক জয়ে উদ্বুদ্ধ করছে। তাই সাধের গাড়ি বিক্রির চাপা কষ্ট লুকিয়ে রেখেই দ্যুতি বলছেন, “না, খারাপ লাগছে না। প্রতিযোগিতা ছিল বলেই গাড়িটা কিনতে পেরেছিলাম। ফের খেলব, উপার্জন করব আর নিজের জন্য দামী গাড়ি কিনব। তাই আপাতত ওসব চিন্তা না করে পরের বছরের অলিম্পিকেই ফোকাস করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.