সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্থির সিদ্ধান্তে অবিচল নয়। একগুঁয়েমিও নয়। জাপান সরকার এবার সত্যি অলিম্পিক সাময়িক স্থগিত করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করল। তবে সেই স্থগিতের মাত্রা এক মাস না দেড় মাস, এক বছর থেকে দু’বছর, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জাপান সরকার যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার কথা এখনই ভাবছে না জাপান। কারন সেক্ষেত্রে স্পনসরদের চাপের মুখে পড়তে হবে আয়োজকদের।
করোনা ভাইরাসের দরুন সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন টালমাটাল পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে। একের পর এক মেগা ইভেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু অলিম্পিক। যেখানে জাপান সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, যথাসময়ে অলিম্পিক হবে। এমনকী আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন, তাঁরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। তাই বলে অলিম্পিক স্থগিত করে দেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত তাঁদের নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠকদের পক্ষ থেকে এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “অলিম্পিক পুরোপুরি বন্ধ না করে কীভাবে অন্য উপায়ে চলা যায় সেই ভাবনা শুরু হয়েছে। প্ল্যান বি সি ডি, সবদিক ভাবনা চিন্তা করে আমরা কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। একমাত্র উপায় হল অলিম্পিক বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া।” তবে টোকিও অলিম্পিক সংগঠক কিংবা আইওসি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়। এমনকী জাপান সরকারও প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
ইতিমধ্যে অবশ্য ভাবা হচ্ছে, যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা করা যায়। আর এক সূত্রের খবর, টোকিও অর্গানাইজিং কমিটি নাকি ভাবছে এক মাস থেকে দেড় মাস অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হোক। এই দাবি নাকি জোরদার হতে শুরু করেছে। তবে জাপানের সংবাদপত্র নিকেই জানিয়েছে, আইওসি এই সপ্তাহে বোর্ড মিটিং ডাকছে। সেখানে অলিম্পিক বন্ধ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। টোকিও অলিম্পিকে প্রধান স্পনসর হল জাপানের টয়োটা মোটর ও প্যানাসনিক কর্পোরেশন। এখন স্পনসররা বুঝতে পারছে না তাদের করণীয় কী। মোট ৬০টা স্পনসর এবার অলিম্পিকে থাকছে। তাদের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, কেউই চাইছে না,বন্ধ হোক। তবে জাপান এয়ারলাইন্সের এক কর্তা জানিয়েছে, ২৪ জুলাই থেকে কোনওমতে অলিম্পিক শুরু হচ্ছে না। জাপানে মিয়াগির সেন্দাই স্টেশনে অলিম্পিক মশাল রাখা হয়েছে। সেই মশাল দেখতে প্রায় হাজার পঞ্চাশ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তবে দর্শনধারীদের মধ্যে সেভাবে স্বতঃস্ফূর্ততা ধরা পড়েনি। অধিকাংশ মানুষ এসেছিলেন মাস্ক পরে। সেলফি তুললেও তেমন আবেগ ছিল না। সত্তর বছরের এক বৃদ্ধ অলিম্পিক মশাল দেখার পর নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অলিম্পিক মশাল দেখেছি। আসলে পুরোটাই ছিল অলিম্পিকের মতো খেলাকে মর্যাদা দেওয়া।” ২৬ মার্চ থেকে মশাল সারা শহর প্রদক্ষিণ করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.