লক্ষ্য সেন। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে বিদ্ধ ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা লক্ষ্য সেন। অভিযোগের বিরুদ্ধে কর্নাটকের হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল হাই কোর্ট। ফলে এখন কেরিয়ার বাঁচাতে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটতে হবে লক্ষ্যকে। সেই সঙ্গে ভারতের ক্রীড়াব্যবস্থায় বয়স ভাঁড়ানোর প্রসঙ্গ চর্চায় চলে এসেছে। তবে পরে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন লক্ষ্য।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। সেই সময় লক্ষ্য, তাঁর পরিবার ও কোচ বিমল কুমারের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর সেই অভিযোগটি এনেছিলেন নাগরাজ এমজি বলে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, লক্ষ্য সেন ও তাঁর দাদা চিরাগ সেনের জন্ম প্রমাণপত্র ভাঁড়িয়ে আড়াই বছর বয়স কমানো হয়েছে। ফলে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাঁরা অনৈতিক সুবিধা পেয়েছে বলে দাবি।
সেই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তের আদেশ দেন মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট। তার বিরুদ্ধে পালটা আবেদন করেন লক্ষ্য। ২৩ বছর বয়সি শাটলারের দাবি, নাগরাজের অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। বরং ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০২০ সালে প্রকাশ পাড়ুকোনের ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে নাগরাজের মেয়ে সুযোগ না পাওয়ায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন। আর এই অভিযোগে তাঁর পরিবারের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিন্তু লক্ষ্যর আবেদন খারিজ করে দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। কোর্টের বক্তব্য, তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে। ফলে অলিম্পিকে দুরন্ত পারফর্ম করা লক্ষ্যর বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলবে। এখন আইনি যুদ্ধের পথে হাঁটতে হবে লক্ষ্যকে।
পরে কর্নাটক হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে এখনও তদন্ত করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.