স্টাফ রিপোর্টার: বিক্ষোভ, মিছিল চলছিল। এবার টোকিও অলিম্পিক বাতিল করার জন্য গণ স্বাক্ষর সংগ্রহে নেমে পড়লেন জাপানিরা। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের স্বাক্ষর করা প্রতিলিপি জমা পড়েছে। সেই প্রতিলিপিতে বোঝানো হয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে কোনওমতেই অলিম্পিক (Olympic) আয়োজন করা চলবে না। তা বাতিল করতে হবে। এমনিতেই টোকিও-সহ তিনটি শহরে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে মে মাস পর্যন্ত। তার সঙ্গে আরও তিনটে শহরে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। যার মধ্যে পড়েছে উত্তর হোক্কাইডো। যেখানে অলিম্পিকের ম্যারাথন হবে। করোনার চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়েছে জাপানে। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই জাপানিরা মনে করছে, অলিম্পিক হলে করোনা হু হু করে বাড়বে।
টোকিও (Tokyo) গভর্নর হওয়া প্রাক্তন প্রার্থী কেঞ্জি উতসুনোমিয়া অলিম্পিক বাতিল করার অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জাপানে এই সময় অলিম্পিক করলে বোঝাবে আমরা মানুষের জীবনের চেয়ে ক্রীড়া উৎসবকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।” উতসুনোমিয়া জানিয়েছেন, তাঁদের এই গণস্বাক্ষর টোকিও গভর্নর উরিকো কোইকোর কাছে জমা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাঁরা চাপ দেবেন অলিম্পিক বাতিল করা চাই। এছাড়া এই প্রতিলিপি পাঠানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বা আইওসি (IOC) ও আন্তর্জাতিক প্যারাঅলিম্পিক কমিটির কাছে।
ডাক্তারদের ইউনিয়নও মনে করছে, মহামারী চলাকালীন অলিম্পিক কোনওভাবে নিরাপদে রাখা যাবে না। তবে সংগঠকদের ধারণা, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে গেমস যেহেতু হবে তাই অ্যাথলিটদের দ্বারা ভাইরাস ছড়ানোর প্রশ্ন নেই। এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যারাঅলিম্পিক কমিটির চিফ অ্যান্ড্রু পারসন্স জাপানিদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, “আমরা জাপানিদের নিশ্চিত করতে চাইছি, অ্যাথলিটদের দ্বারা কোনওমতে করোনা ছড়াবে না। ক্রোধ তখন আসে যখন মানুষ ভাবে অলিম্পিক হলে চিকিৎসা ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে। আমরা জোর দিয়ে বলছি, এই বিষয়টা ভাবনার মধ্যে না রাখাই ভাল। সংগঠকরা বেশ কিছু প্রতিযোগিতা করে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। জাপানে যোগ দেওয়া অ্যাথলিটরা এখানে এসে বলেও গিয়েছেন, যথেষ্ট নিয়ম মেনে অলিম্পিক হচ্ছে। তবু ক্ষোভ বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.