সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েদের ফেড কাপে (Fed Cup) ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে এই প্রথম প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত। তারপরই ইতিহাস করা এই ভারতীয় দলকে নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। অঙ্কিতা রায়না ও সানিয়া মির্জার মতো ভারতীয় মহিলা সুপারস্টারদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করছেন সবাই।
যদিও, এর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই ছেলেদের ডেভিস কাপে ভারত হার স্বীকার করে নেয় ক্রোয়েশিয়ার কাছে। প্রথম দু’টি সিঙ্গলসে হারলেও ডবলসে লিয়েন্ডার পেজ-রোহন বোপান্না জিতে যাওয়ায় সামান্য আশা সঞ্চারিত হয়েছিল। কিন্তু, ফিরতি সিঙ্গলসে মারিন চিলিচের কাছে সুমিত নাগাল হেরে বসায় যোগ্যতামানের খেলায় বিদায় নিল ভারত। ছেলেদের যেখানে এই হাল সেখানে মান রাখল মেয়েরা। শুধু মান নয়, যা কখনও হয়নি সেটাই হল। অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার ছাড়পত্র এই প্রথম পেল ভারত। প্রথম সিঙ্গলসে রুতুজা ভোসলে হেরে গিয়েছিলেন। হারেন প্রিসকা মেডেলিন নুগরোহোর কাছে।
কিন্তু, পিছিয়ে থাকা ভারতকে টেনে তোলেন অঙ্কিতা। তিনি হারান আলদিলা সুৎজিআদিকে। এই জয় ভারতকে টাইতে ফিরিয়ে আনে ১-১-এ। তারপর শুরু হয় ডবলসের খেলা। সানিয়া মির্জা-অঙ্কিতা জুটি হারিয়ে দেয় ইন্দোনেশিয়ার সুৎজিআদি-নুগরোহোকে। খেলার ফল ছিল ৭-৬ (৪) ও ৬-০। এই জয়ের ফলে প্লে-অফে লাটভিয়া বা নেদারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। খেলা হবে এপ্রিলে। ডাবলসের খেলায় প্রথম সেটে একসময় ভারত ১-৪ পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়াকে অনেকে নারী দিবসের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত বলে মনে করছেন। এই ম্যাচ জিতে ভারত টানা চারটে ম্যাচ জিতল। একমাত্র হেরেছিল চিনের কাছে। ফলে রানার্স হয়ে ভারত উঠল প্লে-অফে। চার বছর পরে ফেড কাপে খেলতে নেমেছিলেন সানিয়া মির্জা।
খেলার পর টাই জয়ের নায়িকা অঙ্কিতা বলেন, ‘স্বপ্ন দেখা সার্থক হল। তবে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি আমরা প্লে-অফে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছি। তাই দু’বার রুতুজাকে জিগ্যেস করে বসি। তবে এই জয়ের জন্য আমি সানিয়াকে ধন্যবাদ জানাব। তিনি না থাকলে হয়তো আমরা এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। বিশেষ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তিনি খেলতে নেমে যেভাবে খেললেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.