সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরী সাঁতারুকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল কোচ সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সন্ধেয় দিল্লি থেকে তাঁকে যৌথভাবে গ্রেপ্তার করে গোয়া এবং দিল্লি পুলিশ।
বাংলার কিশোরীকে যৌন হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এমন খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কোচ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিভিন্ন শহরে পালিয়ে গ্রেপ্তারি এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সুরজিৎ। তাঁর দুটো ফোনই সুইচড অফ ছিল। তাঁকে খুঁজে বের করার জন্য তৈরি হয় একটি বিশেষ দল। যেখানে ছিলেন উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার উৎকৃষ্ট প্রসূন, মাপুসার এসডিপিও গজানন্দ প্রভুদেশাই এবং ইনস্পেক্টর কপিল নায়েক। ভোপাল, বেঙ্গালুরুর মতো বেশ কয়েকটি শহরে তল্লাশি চালায় বিশেষ দলটি। ভারতের প্রত্যেক শহরের পুলিশকেও এবিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। অবশেষে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় দিল্লির কাশ্মীরি গেট। সেখানেই দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে গোয়া পুলিশ বলেই খবর।
অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৫৪ (যৌন হেনস্তা) এবং ৫০৬ (সমাজবিরোধী কার্যকলাপ) নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাপুসা থানা।
গত ৪ আগস্ট বাংলার সোনাজয়ী সাঁতারুর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়া সরগরম হয়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় যৌন হেনস্তার ভিডিওটি। দেশের প্রতিভাবান সাঁতারুর সঙ্গে হওয়া এই অশ্লীল আচরণ নজরে আসে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর। তারপরই কোচের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাবতীয় চুক্তি বাতিল করল গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন। এমনকী, সুরজিৎ যেন ভবিষ্যতে কোথাও চাকরি না পান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই নির্দেশও দেন সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়াকে। বৃহস্পতিবার সকালে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রিষড়া থানায় তথ্যপ্রমাণ-সহ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিশোরীর মা-বাবা। দু’দিন পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.