সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিসার গেরোয় আটকে পড়েছেন পেন ওরজি। ফলে গঙ্গাপারের ক্লাবে বোয়া আসতে চলেছেন এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষমেশ সকলকে চমকে দিলেন ক্লাবকর্তারা। বোয়া নন, সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে তুলবেন বিমল ঘারতি মগর। নেপালের এই বিস্ময় তরুণ ভারতীয় ফুটবলে সারপ্রাইজই বটে।
[ ইস্টবেঙ্গলের ছাঁটাই প্লাজা সই করলেন মহামেডানে ]
সোনি নর্ডির বদলির খোঁজে ছিল সুবজ-মেরুন শিবির। সে কারণেই প্রথমে পেন ও পরে বোয়ায় ঝোঁকেন ক্লাবকর্তারা। তবে শেষমেশ মগরের আসাই নিশ্চিত। বয়স কম, মোটে কুড়ি। খেলেন স্ট্রাইকার পজিশনে। নেপালের বিস্ময় প্রতিভা হিসেবেই দেখা হয় এই তরুণ ফুটবলারকে। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সেই জায়গা পেয়েছিলেন নেপালের সিনিয়র জাতীয় দলে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল মগরের। এত অল্প বয়সে সিনিয়র জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এবং তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রেকর্ডও বটে। দেশের হয়ে ইতিমধ্যেই বিপক্ষের জালে প্রায় বার ছয়েক বল জড়িয়েছেন। তবে ক্লাবস্তরেও নিজের প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন এই তরুণ। ইউরোপিয়ান ও ডাচ ক্লাবের হয়েও খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।
[ শামির পেসের সামনে আত্মসমর্পণ দক্ষিণ আফ্রিকার, একদিন বাকি থাকতেই জয়ী ভারত ]
তরুণ এই প্রতিভা যে মোহনবাগানের আক্রমণে বাড়তি গতি সঞ্চার করবে এমনটাই ভরসা সমর্থক ও কর্তাদের। বস্তুত পেন ওরজি থেকে বোয়া, যে দুটি নাম ভেসে এসেছিল, তা নিয়ে খটকা ছিল সমর্থকদের। পেন বা বোয়া অতীতে যা ঝলক দেখিয়েছেন, তা ভবিষ্যতে দেখাতে পারবেন তো। এ প্রশ্নই পেয়ে বসেছিল। মগরের যোগদানে অবশ্য সকলেই খুশি। সমর্থকরা তারিফ করছেন ক্লাবকর্তারে। প্রথম ভারতীয় ফুটবলে মগর একেবারেই নতুন। ফলত তাঁর স্কিল, দক্ষতা বিপক্ষককে সমস্যায় ফেলবে। অন্যদিকে তরুণ ফুটবলার হওয়ায় পরের মরশুমেও তাঁকে রেখে দেওয়া যেতে পারে। কর্তাদের এই দুরদর্শী সিদ্ধান্তেরই তারিফ করছেন সমর্থকরা।
[ আইপিএলে ১১ কোটি দর মণীশ-রাহুলের, ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ]
আজ রবিবারই তিনি কলকাতায় পা রাখবেন বলে জানা যাচ্ছে। শীঘ্রই দলের সঙ্গে প্র্যাকটিসে যোগ দেবেন। এদিকে ইউটাও ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেই খবর বাগান তাঁবুতে। সোনি চলে যাওয়ায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। মগর কতটা তা পূরণ করতে পারেন এখন সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.