সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মওকা মওকা-র ভিডিও গুলোর জ্বালা তো দগদগে ছিলই। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো জুড়েছিল ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে বাপ-ব্যাটার তত্ত্ব। সেই সব ক্ষোভ উগরোতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র অপমান করে বসলেন এক পাক সঞ্চালক। জানালেন, পাকিস্তানের দিকে যে জল আটকেছেন, তার আঁজলা জলেই ডুবে মরুন মোদি।
[ পাকিস্তানকে শুভেচ্ছা জানানোয় মীরওয়াইজকে সবক শেখালেন গম্ভীর ]
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানকে ফেভরিট হিসেবে কেউই ধরেননি। এমনকী তাঁদের দেশের প্রাক্তনীরাও নন। নানা সমস্যায় জর্জরিত পড়শি দেশটি। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর আক্রমণের পর বাইরের কোনও দেশের খেলোয়াড় পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখেন না। বৈদেশিক নীতিগত কারণে আইপিএল-এর মতো হাই প্রোফাইল সিরিজে খেলতেও পারেন না পাক ক্রিকেটাররা। প্রায় ধুঁকতে থাকা একটা দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিই আচমকা যেন অক্সিজেন পেল এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সরফরাজরা শুধু ট্রফিই জেতেননি, বলা যায় পাকিস্তানের যুগবদলের নিশানটিই উড়িয়ে দিয়েছেন ওভালের মাটিতে। তাই সেই জয়ের উত্তেজনা স্বাভাবিকভাবেই আচ্ছন্ন করেছে পাক মিডিয়াকে। আর তাই উল্লাস প্রকাশ করতে গিয়ে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই অপমান করে বসলেন বোল টিভি-র সঞ্চালক আমির লিয়াকত।
[ জানেন, পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর কী বললেন সানিয়া? ]
গায়ে পাকিস্তানের জার্সি চাপিয়েই শো করছিলেন তিনি। তুলোধোনা করছিলেন বাপ-ব্যাটার তত্ত্বকে। যেহেতু ফাদারস ডে-র দিন পড়েছিল মহারণ, তাই বলা হচ্ছিল ভারত হচ্ছে বাপ। আর পাকিস্তান ব্যাটা। সুতরাং ব্যাটাকে বাপ বুঝিয়ে দেবে বাপের ক্ষমতা কতখানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয়েছিল। আগুলে ঘি ঢেলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগও। এই পরিস্থিতিতেই সমস্ত আলোচনা ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসে ভারতের কাছে। ফাখার-হাসান আলিদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন কোহলিরা। আর তারপরই উত্তেজিত ওই সঞ্চালক বলতে থাকেন, পাকিস্তান বুঝিয়ে দিয়েছে কে আসলে বাপ। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, যে জল পাকিস্তানকে দিতে নারাজ ভারত, সেই জলেই আঁজলা ভরে যেন ডুবে মরেন মোদি। শেহবাগ, সৌরভ থেকে শুরু করে অর্ণব গোস্বামী ও ঋষি কাপুরেরও তীব্র সমালোচনা করেন লিয়াকত।
[ হারের জের: অশ্বিনদের পোস্টারে আগুন, নেটদুনিয়ায় বিরাটের হাতে কমোড ]
হেরে যাওয়ার পরও পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কোহলি-সহ ভারতের প্রত্যেকেই। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারতীয়রা অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়েছেন সরফরাজদের। পাক ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব ও দক্ষতাকে কুর্নিশ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি কেউ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাই হোক না, একটা সৌজন্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল এই খেলাকে ঘিরেই। সরফরাজের সন্তানকে কোলে নিয়ে ধোনি যখন ছবি তোলেন, তখন বহু ভারতীয়ই সে সৌহার্দ্যকে অভিনন্দিত করেছিলেন। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই বিসদৃশ অপমানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা।
দেখুন ভিডিও-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.