ছেলের ছবি আঁকড়ে বৃদ্ধ বাবা। নিজস্ব চিত্র
মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সালটা ২০১৬। কাশ্মীরের উরিতে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন ভারতীয় সেনার। তারমধ্যে ছিলেন বাংলার বীর জওয়ান গঙ্গাধর দলুই। আজও জগৎবল্লভপুরের বাড়িতে বসে সেই দিনের ঘটনায় কথা মনে পড়লে রক্ত গরম হয়ে তাঁর বাবা ওংকারনাথ দলুইয়ের। এবার পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর বদলার আগুনে ফুটছেন তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ চাইছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা চাই। বারবার আমাদের ছেলেদের উপর আক্রমণ করবে। প্রাণ কেড়ে নেবে, এটা চলতে পারে না। এরা আমার ছেলেরও প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। আমি বদলা চাই।”
গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের বেছে বেছে খুন করে। এই হত্যালীলায় ঘটনায় মারা যান এক স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ২৬ জন পর্যটকের। এই ঘটনা ভারত সরকার পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র দেখছে। গোটা দেশ বদলা চাইছে। স্বাভাবিকভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন শহিদ গঙ্গাধরের বাবা অঙ্কারনাথ। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে টিভি দেখে পহেলগাঁওয়ের নৃশংস জঙ্গি হানার খবর জানতে পেরেছেন। বুকে জেগে ওঠে প্রতিশোধের আগুন। ক্ষোভে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা চাই। বারবার জঙ্গি হানায় কেন আমাদের লোকেদের প্রাণ যাবে?” সঙ্গে জানিয়েছেন, জঙ্গি হামলায় ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই পাকিস্তানের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। চান পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা, সিনেমা-সহ সমস্ত রকম সম্পর্ক বন্ধ করা হোক।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জগৎবল্লভপুরের নিমবালিয়া গ্রামের যুবক গঙ্গাধর দোলুই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে তার পোস্টিং হয়। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গঙ্গাধর যখন সেনা ছাউনিতে ডিউটিরত ছিলেন গঙ্গাধর। সেই সময় চার জঙ্গির অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ যায় তাঁর। হামলায় প্রাণ যায় ১৯ জন সৈনিকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.