মেয়েকে আদর মায়ের। নিজস্ব চিত্র
অসিত রজক, বাঁকুড়া: উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে আছে ৭২ জন কৃতি। মেধা তালিকায় রাজ্যে চতুর্থ স্থানে আছে সৃজিতা ঘোষাল। মেয়েদের মধ্যে সে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাঁকুড়ার সোনামুখী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। সাফল্যের কথা জানার পরেই ওই বাড়িতে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়রা বাড়িতে গিয়ে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে।
পড়াশোনায় আগাগোড়াই মেধাবি সৃজিতা। নিয়ম মেনে দিনভর পড়াশোনার মধ্যে কখনও পড়াশোনা করেনি সে। তবে পড়তে বসলে কখনওই অন্য কিছুতেই নজর দিত না। মাধ্যমিকের পর আরও বেশি পড়াশোনায় ব্যস্ত হয় সৃজিতা। সব বিষয়েই তার গৃহশিক্ষক ছিল বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের শিক্ষকরাও তার পড়াশোনায় যথেষ্ট সাহায্য করতেন। আজ বুধবার বেলায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে ফলাফল ঘোষণা হয়। সেখানে চতুর্থ স্থানে নাম ঘোষণা হয় সৃজিতার। কিছু সময়ের মধ্যেই জানা যায়, সৃজিতাই এবার রাজ্যের মেয়েদের মধ্যে প্রথম।
কিছুটা ভয় থাকার কারণে ফল ঘোষণার সময় টিভির সামনে ছিল না সৃজিতা। বন্ধুদের থেকে মেসেজে সে এই ফলের কথা জানতে পারে। অন্যান্যরাও ফোনে শুভেচ্ছা জানাতে থাকে। মেয়ের এই সাফল্যে খুশি বাবা-মাও। বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক, মা গৃহবধূ। ফলপ্রকাশের পর মেয়েকে পাশে বসিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন বাবা-মা। মেয়ে আরও সফল হোক। এমনই প্রার্থনা করছেন দুজনে। সৃজিতা জানিয়েছে, ভালো রেজাল্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এত ভালো ফলের আশা করা হয়নি। বন্ধুদের থেকেই এই কথা সে জানতে পারে। নিয়ম করে পড়াশোনার মধ্যে দিয়েই এই সাফল্য বলে সে মনে করছে। গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকদেরও অবদান আছে এই সাফল্যের জন্য। সেই কথা জানিয়েছে সৃজিতা।
সৃজিতা আগে আঁকা, গানের চর্চা করত। উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ার জন্য সেসব সাময়িক বন্ধ আছে। এরপর ইঞ্জিনিয়রিং নিয়ে পড়তে চায় সে। পরবর্তীতে কী হবে, সেই সম্পর্কে এখনও জানা নেই। এমনই জানিয়েছে সৃজিতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.