অর্ণব আইচ: ফের শহরের জনবসতি এলাকায় মধুচক্রের হদিশ। মঙ্গলবার রাতে বেহালার পর্ণশ্রীর একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক পলাতক।
[ফ্ল্যাট কিনে ঋণের বোঝায় বেসামাল, আত্মহত্যার চেষ্টা এক পরিবারের সকলেরই]
দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিপথে চলে যাচ্ছেন তরুণ-তরণীরা। শহরের জনবসতি এলাকায় রমরমিয়ে চলছে মধুচক্রও। কখনও প্রলোভন কিংবা ভয় দেখিয়ে কলেজপড়ুয়া, এমনকী, স্কুলপড়ুয়াদেরও দেহ ব্যবসা নামাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু মানুষ। বাড়তি রোজগারের অনেকে আবার স্বেচ্ছায় মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। যেমনটা ঘটেছে বেহালার পর্ণশ্রীতে। এই এলাকাটি বেহালার অভিজাত পাড়া বলেই পরিচিত। বস্তুত, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়িও বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায়। অভিযোগ, পর্ণশ্রীর উপেন ব্যানার্জি রোডে একটি দোতলা বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্র চালাচ্ছিলেন বাড়ির মালিক। তদন্তকারীদের দাবি, মধুচক্র চালানোর জন্য অল্প বয়সী মেয়েদের জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে আসা হত। অনেকে আবার স্বেচ্ছায় ‘খদ্দের’ নিয়েও ওই বাড়িতে আসত। বিষয়টি নজরে পড়ে পুলিশে। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার, ওই বাড়িতে মধুচক্র চলার বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার বেশি রাতে পর্ণশ্রীর উপেন ব্যানার্জি রোডের ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ধরা পড়ে যায় ১৭ জন তরুণ-তরুণী। তবে মূল অভিযুক্ত বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বেগতিক বুকে আগেই পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
[মধ্যরাতে মানিকতলায় ‘লঙ্কাকাণ্ড’, ঝাঁজালো ধোঁয়ায় নাকাল বাসিন্দারা]
কয়েক দিন আগেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি হোটেল মধুচক্রের পর্দাফাঁস করেছিল সিআইডি। ৩ মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, ওই হোটেলে প্রতিরাতে বসত মধুচক্রের আসর। সুন্দরী যুবতী ও নাবালিকাদের লোভেই হোটেল আসত রাঘববোয়ালরা।
[ডেন্টাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে ২ ছাত্রের সঙ্গে ‘ফূর্তি’, বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.