সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার চিকিৎসক কাফিল খান। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিজের প্রাইভেট ক্লিনিকে চুরি করে নিয়ে যান কাফিল। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। ওই চিকিৎসক হাসপাতালের নোডাল অফিসার ছিলেন। শিশুমৃত্যুর ঘটনার পরই তাঁকে ওই পদ থেকে সরানো হয়েছিল। চলছিল বিভাগীয় তদন্ত। আপাতত শ্রীঘরে যেতে হচ্ছে কাফিল খানকে।
[কুরবানির ইদে শুভেচ্ছা মোদি-মমতার, অভিনন্দন রাষ্ট্রপতিরও]
অথচ শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর সবথেকে বেশি দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই কাফিল খান। অক্সিজেনের অভাবে যখন নাভিশ্বাস উঠছিল হাসপাতালের, তখন কাফিলই ছোটাছুটি করে বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করেছিলেন। নিজের পকেটের টাকায় অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কাফিল খান সক্রিয় না হলে বিপর্যয় আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে পারত বলে অনেকেরই দাবি। তবে তাঁর উদ্যোগ তদন্তকারীদের কাছে তেমন কিছু মনে হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, কাফিল খান হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরি করে তাঁর চেম্বারে নিয়ে গিয়েছেন এই নিয়ে অকাট্য প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি এই অসাধু কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। কাফিল খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে জেলে রয়েছেন ওই কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল এবং তাঁর স্ত্রী। ডাক্তার খান ছাড়াও ওই মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিস্ট, ফার্মাসিস্ট, অ্যাকাউন্টেটের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ৭৪ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তদন্ত কমিটি গড়েছিল। সেই কমিটি এই ঘটনার জন্য মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পাশাপাশি কাফিল খানের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিল। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
[প্রথমবার সেলফি, শিশুর সঙ্গে হাসিমুখে ‘পোজ’ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের]
তবে ‘হিরো’ ডাক্তার কাফিল খানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ জুড়ে শোরগোল পড়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, অহেতুক তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। শিশুমৃত্যুর ঘটনার অন্যতম মূল অপরাধী হিসেবে কাফিল খানকে চিহ্নিত করায় বিস্মিত অনেকেই। এমনকী শিশুমৃত্যুর পর গোরক্ষপুরের জেলাশাসক যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাতেও কাফিল খানকে দোষী ঠাওরানো হয়নি। অভিযোগ, যোগী প্রশাসন গোড়া থেকেই কাফিল খানকে নিশানা বানিয়ে ফেলে। তার ফলে ডাক্তারের এমন পরিনতি হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.