সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে হিন্দু মহাসভা। এবার গোয়ালিয়রের দপ্তরে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মূর্তি বসিয়ে পুজো করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। এই ঘটনা ফের উসকে দিয়েছে বিতর্ক।
[গডসে ছাড়াও গান্ধী হত্যায় কি অন্য কেউ জড়িত? তদন্তের দাবিতে মামলা]
সংগঠনের সহ-সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ জানান, ”গোয়ালিয়রের দৌলতগঞ্জে হিন্দু মহাসভার দপ্তরে গডসের ৩২ ইঞ্চি দীর্ঘ দীর্ঘ আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে ওই ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর’ পুজো শুরু হয়েছে। প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে পঞ্চামৃত বিলি করা হচ্ছে।” পিটিআই সূত্রে খবর, ৯ নভেম্বর গডসের মন্দির নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায় হিন্দু মহাসভা। তবে গান্ধীর হত্যাকারীর মন্দির বানানোর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তাই এবার নিজেদের দপ্তরেই মূর্তি বসিয়ে উদ্দেশ্য পূরণ করল সংগঠনটি। গোয়ালিয়রের ওই কার্যালয়ে এক সপ্তাহ কাটিয়েছিলেন গডসে বলেও দাবি করেন ভরদ্বাজ। তাঁর বক্তব্য, ”দেশ বিভাজনের বিরোধী ছিলেন নাথুরাম। তিনি একজন মহান জাতীয়তাবাদী। ‘এক ভারত অখণ্ড ভারত’-এর জন্যই প্রাণ দিয়েছিলেন গডসে। আজও পুনেতে তাঁর চিতাভস্ম রাখা আছে। গডসের শেষ ইচ্ছা ছিল, অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার পরই যেন সেই ভস্ম ভাসিয়ে দেওয়া হয়।”
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। হিন্দু মহাসভার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করার দাবিও জানায় দলটি। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী নেতা অজয় সিং বলেন, এই পদক্ষেপ জাতির জনককে অপমান করার জন্য করা হয়েছে। একদিকে মহাত্মার মূর্তি পোড়ানো হয়েছে মোরেনায়, অন্যদিকে গোয়ালিয়রে তাঁর হত্যাকারীর নামে মন্দির হল। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাকের ডগায় মহাত্মার ঘাতকের মন্দির তৈরি হচ্ছে, আর উনি গান্ধীজির নাম নিয়ে অনশনে বসেছিলেন। বিজেপি অবশ্য পালটা বলেছে, মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহ্য সকলের, একাই কেন তার অধিকার দাবি করছে কংগ্রেস? মহাসভা আইন বা সংবিধান ভেঙে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[‘মহাত্মা গান্ধীর হত্যায় সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে কংগ্রেসই’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.