ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সভ্যতা নিয়ে মানুষের বড়াইয়ের শেষ নেই। আদিম, বর্বর অবস্থা থেকে শুরু করে প্রযুক্তির এই তুমুল অগ্রগতির সময়ে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। কিন্তু আজও কি পুরোপুরি সভ্য হতে পেরেছে মানুষ? মুক্ত হওয়া গিয়েছে ঘৃণ্য কুসংস্কারের কবল থেকে? রাঁচির (Ranchi) এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন সেই প্রশ্নই নতুন করে তুলে দিল। পুত্র কামনায় এক পিতা ‘বলি’ দিল নিজের ছ’বছরের ফুটপুটে কন্যাসন্তানকে!
রাঁচির বাসিন্দা ২৬ বছরের সুমন নেগাসিয়া। পেশাগতভাবে সে শ্রমিকের কাজ করত। মনেপ্রাণে পুত্রসন্তানের বাবা হওয়ার প্রবল আকুতি ছিল তার। এই পরিস্থিতিতে কুসংস্করাচ্ছন্ন সুমন গিয়ে পড়ে একজন তান্ত্রিকের পাল্লায়। সেই তান্ত্রিকই সুমনকে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে। ওই তান্ত্রিক তাকে বোঝায়, নিজের মেয়েকে হত্যা করলে সেই মেয়ে আবার নতুন করে জন্ম নিয়ে ছেলে হয়ে ফিরে আসবে সুমনেরই কাছে। অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়ে ঠিক সেটাই করতে মনস্থ করে ফেলে অভিযুক্ত সুমন। সে নিজের ছোট্ট মেয়ের গলা কেটে তাকে খুন করে। ঘটনার সময় সুমনের স্ত্রী নিজের বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। তাই সুমনকে বাধা দেওয়ারও কেউ ছিল না।
পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃত শিশুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ঘটনার অভিঘাতে তীব্র শোকাহত শিশুটির মা। থেকে থেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। এদিকে পুলিশ খোঁজ করছে সেই তান্ত্রিকের, যে সুমনকে একাজে উসকানি দিয়েছিল। শিগগিরি তাকে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী পুলিশ।
ভারতে কন্যা শিশু হত্যার ইতিহাস কয়েক শতাব্দী পুরনো। যার অন্যতম কন্যাভ্রূণ হত্যা। এর পিছনে কারণ পুত্রসন্তানের প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা। রাঁচির এই ঘটনা নতুন করে সেই প্রবণতাকেই তুলে ধরল আরও একবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.