সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভিন ধর্মের এক কিশোরীকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করানোর অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে। ১৫ বছরের ওই ক্রিশ্চান কিশোরীকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাব প্রদেশে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা মুখতার মাশি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ইমরান খানের সরকার।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফাইরা নামে এক কিশোরীকে লাহোর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শেখপুরা শহরে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তারপর সেখানকার একটি ইসলামিক সংগঠনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে গিয়ে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায়। পরে মেয়েটিকে সেখানে আটকে রেখে দেয়। এই খবর শুনে মেয়েটির বাড়ির লোক তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ওই কিশোরীর বাবা পাঞ্জাব প্রদেশের এক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সবকিছু খুলে বলেন। পরে তাঁর পরামর্শে পুলিশের কাছে গিয়ে এফআইআর দায়ের করেন।
যদিও স্থানীয় পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই কিশোরীটিকে সোমবার ধর্মান্তকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে স্থানীয় দার-উল-আলমে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে মেয়েটির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাঞ্জাব প্রদেশের নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ বছরের কমবয়সীকে ধর্মান্তকরণ করানো যায় না। তাই মেয়েটির ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া বৈধ নয়।
এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে জোর করে তিনটি ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। এর আগে নানকানা সাহিবের এক শিখ পুরোহিতের কিশোরী মেয়েকে ধর্মান্তকরণের পর জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। দিল্লির পাক দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ হয়। যদিও পরে ওই কিশোরী তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে ইমরানের প্রশাসন। কিন্তু, তা মিথ্যে বলে দাবি করেছেন মেয়েটির বাড়ির লোক। অন্যদিকে সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে জোর করে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করানোর পর বিয়ে করে তারই এক সহপাঠী। রেণুকা কুমারী নামে ওই কিশোরীকেও তার কলেজ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ পরিবারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.