সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত আফগানিস্তান (Afghanistan)। কাবুলের এক হাসপাতালে জঙ্গি হানায় মারা গেলেন ১৯ জন। আহত ৫০। আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ওই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরণ ও গুলি চলার কথা জানিয়েছেন সাক্ষীরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ডাক্তার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ”আমি হাসপাতালের মধ্য়েই আছি। একটু আগেই বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। আমাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। নিয়মিত গুলির আওয়াজ কানে আসছে। হাসপাতালের ভিতরেই গুলি চলছে। আমার ধারণা, ঘরে ঘরে ঢুকে গুলি চালাচ্ছে ওরা।”
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি দল হামলার দায় স্বীকার না করলেও তালিবান অধ্যুষিত কাবুলে গত তিন মাসে চারটি বড় নাশকতার পিছনে আইএসের হাত থাকায় মনে করা হচ্ছে এই হামলার পিছনেও তারাই রয়েছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে মার্কিন সেনা সেদেশ ছাড়ার পর থেকেই। মসজিদ থেকে শুরু করে অন্যান্য অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলা ঘটিয়ে ইতিমধ্যেই তালিবানকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আইএস। তাদের উত্থান কেবল তালিবান নয়, ভাবাচ্ছে আমেরিকাকেও। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। এখন দেখার হাসপাতালের বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও তারা দায় স্বীকার করে কিনা।
এর আগে ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের সেনা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা। যদিও তখনও জঙ্গিদের তালিবানের নামে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তা সকলকে বিভ্রান্ত করারই ছক বলেই মনে করা হচ্ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.