সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ‘অলৌকিক’ ভাবে বেঁচে গিয়েছেন উড়ানের দুই বিমান সেবিকা। তাঁদের মধ্যে একজন বছর বত্রিশের তরুণী লি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লি ভয়ংকর ট্রমা বা মানসিক আঘাতের মধ্যে রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই লি বারবার বলতে থাকেন, “কী হয়েছে? আমি কোথায়?”
মোকপো কোরিয়ান হাসপাতলে চিকিৎসাধীন লি এবং বছর পঁচিশের আরও এক বিমান সেবিকা কন। বিমানের লেজের দিক থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকার জানিয়েছেন, দুই তরুণীর শারীরিক আঘাতের চেয়েও মানসিক আঘাত বেশি। জ্ঞান ফেরার পর থেকে লি বারবার বলতে থাকেন, “কী হয়েছে? আমি কোথায়?” হাসপাতালে লি-কে দেখভাল করছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তাঁরা বলছেন যে নিজেদের আঘাত বর্ণনা করার ক্ষমতা নেই দুর্ঘটনায় আহতদের। লি-র কাঁধের হাড় ভেঙেছে। মাথায় আঘাত পান তিনি। তবে জ্ঞান হারাননি। পরিবারের দাবিতে সিওলের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
মোকপো কোরিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে কনের। লি-র মতোই তিনিও বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি ভুলে গিয়েছেন। কনের মাথা ফেটেছে, গোড়ালি ভেঙেছে, সঙ্গে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। জীবনের ঝুঁকি না থাকলেও গুরুতর আঘাতের চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল জানিয়েছে, লি-র মতোই ট্রমার মধ্যে রয়েছেন কন।
রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে আছড়ে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান। মাটি ছোঁয়ার ঠিক আগে রানওয়ের উপরেই নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। বিমানবন্দরের দেওয়ালের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.