সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত কাজাখস্তান (Kazakhstan)। বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়ে তাদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ। ইতিমধ্যেই ২৬ জন সশস্ত্র বিক্ষোভকারীকে নিরাপত্তা রক্ষীরা হত্যা করেছে বলেও সরকারি তরফে জানানো হলেও। যদিও বেসরকারি মতে, বুধবার থেকেই আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হচ্ছে বিক্ষোভ দমন করতে।
গোটা দেশেই বিক্ষোভ চললেও সবথেকে বেশি উত্তেজনা রাজধানী আলমাটিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজাখের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনা। বিক্ষোভকারীদের সরাতে চালানো হচ্ছে গুলি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি প্রতিবাদীকে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে ১৮ জন পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড সার্ভিস সদস্যও মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
কী কারণে এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাজাখস্তানে? এর মূলে রয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ। জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর। তবে কেবল এই ইস্যুই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অসন্তোষও। ক্রমশই আন্দোলন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশে। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামার লক্ষণ নেই। বরং আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি।
বুধবার জনতার ক্ষোভের প্রশমন ঘটাতে প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ বর্তমান সরকারকেই বাতিল ঘোষণা করেন। কিন্তু এরপরই তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেন। তাদের দমন করতে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সেনার সাহায্যও চান। এরপর নতুন করে লাগামছাড়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভ। অভিযোগ, বিমানবন্দরের পাঁচটি বিমান বিক্ষোভকারীরা ছিনতাই করেছে। শহরের পুলিশ ভবনগুলোতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল বিক্ষোভকারীরা। অবশেষে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.