সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টিভেন স্পিলবার্গের জ’স ছবিটার কথা মনে আছে? সেই যে অ্যামিটি দ্বীপে পর্যটকের দল বেড়াতে গিয়ে মানুষখেকো হাঙরের মুখে পড়েছিল? সেই হাড়হিম করা দৃশ্যের কথা ভুলে যাননি নিশ্চয়ই? রুপোলি পর্দার সেই দৃশ্যই এবার বাস্তবে৷
মা,বাবার সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বাহামা দ্বীপে৷ কিন্তু ঘোরার বদলে যা ঘটল, তা মর্মান্তিক৷ হাঙর কেড়ে নিল বছর একুশের মার্কিন তরুণী জর্ডন লিন্ডসের প্রাণ৷ একথা জানিয়েছে বাহামার রয়্যাল পুলিশ৷ বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার তরুণী জর্ডন লিন্ডসে বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ রোজ আইল্যান্ডের শুনশান সৈকত ঘুরে সমুদ্রে পা ভেজাতে যান৷ সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ আচমকাই তিন তিনটি হাঙর তাঁর উপর হামলা করে৷ হাতে, পায়ে কামড়ে দেয়৷ তাঁর চিৎকার শুনে কোনওক্রমে রক্ষীরা গিয়ে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ তবে চিকিৎসার কোনও সুযোগই মেলেনি৷ সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকরা জর্ডনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ তাঁর হাত, পায়ের আঙুল খেয়ে ফেলেছিল হাঙররা৷
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় হাঙরের উপদ্রব সম্পর্কে জর্ডনকে সতর্ক করা হয়েছিল৷ সৈকতে ঘোরাফেরার ক্ষেত্রেও সাবধান করা হয়৷ কিন্তু সেসময় কোনও সাবধানবাণীই কানে তোলেননি রোমাঞ্চপ্রিয় তরুণী৷ ফলে যা হওয়ার তাইই হয়েছে৷ হাঙরের মুখে পড়ে আর নিজেকে বাঁচাতে পারেননি জনসংযোগের এই ছাত্রী৷ পরিবার সূত্রে খবর, জর্ডন এমনিতে পশুপ্রেমী৷ তাই পশুদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে মেশে৷ পরিবেশ সচেতনতার জন্য নিজে অনেক কাজও করে৷ বাহামা দ্বীপ ঘোরার পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার পরিবেশ, প্রকৃতি বুঝে নেওয়া৷
তবে সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঙর সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না৷ ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল৷ তাতে দেখা গিয়েছে, অন্তত ১৩০ জন হাঙরের সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করেছিল৷ তার মধ্যে মাত্র ৫ জন হাঙরের শিকার হয়েছেন৷ বাকিরা নিরাপদেই রয়েছেন৷ জর্ডনও বোধহয় তাদের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়েছিল৷ জীবন দিয়ে তার মাশুল গুনতে হল সম্ভাবনাময় তরুণীকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.