সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আমেরিকার হামলায় রকাক্ত ইয়েমেন! রাজধানী সানার এক শরণার্থী শিবিরে মার্কিন ফৌজের আক্রমণে প্রাণ হারালেন ৬৮ জন। আহত বহু। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হাউথি। জ্বালানির উৎস, অস্ত্রভাণ্ডার থেকে একের পর এক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে অভিযান চালাচ্ছে আমেরিকার সেনা। চুপ বসে নেই হাউথিরাও। পালটা দিয়ে তারা ইজরায়েল, লোহিত সাগরে হামলা জারি রেখেছে। সব মিলিয়ে যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে ইয়েমেনে।
২০২৩ সালে গাজায় ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু করতেই লোহিত সাগর উত্তপ্ত করে রেখেছে হাউথিরা। কারণ এই লড়াইয়ে তারা হামাসের পাশে। তাই আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনটি। পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে মার্কিন সেনাও। গত ১৮ এপ্রিল হাউথিদের তেল বন্দরে আকাশপথে হামলা চালায় পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকম। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চারপাশ। প্রাণ যায় ৭৪ জনের। আহত হন ১৭১। সেটাই ছিল ইয়েমেনের বুকে আমেরিকার অন্যতম হামলা।
কিন্তু রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আজ সোমবার হাউথিদের ধ্বংস করার উদ্দেশে আঘাত হানে সেন্টকম। সানা-সহ একাধিক জায়গায় আকাশপথে হামলা চলে। জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনার বোমা আছড়ে পরে শরণার্থীদের ডিটেনশন ক্যাম্পে। সব মিলিয়ে এখনও প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮ জন। আহত শতাধিক। জানা গিয়েছে, ওই সেন্টারটিতে ইথিওপিয়া, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটক করে রাখা হয়েছিল। তারা সকলেই অবৈধভাবে ইয়েমেন হয়ে কাজের আশায় সৌদি আরবে যাচ্ছিলেন। ফলে গাজা, লেবানন, ইজরায়েলের পাশাপাশি এবার পরিস্থিতিতে ক্রমেই জটিল হচ্ছে ইয়েমেনের।
উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সংঘাত বেড়েছে ইজরায়েল ও হাউথিদের মধ্যেও। কয়েকমাস ধরেই ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটির ডেরা গুঁড়িয়ে দিতে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে তেল আভিভও। গত ডিসেম্বরে ইয়েমেনে বন্দি রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের দ্রুত মুক্তি নিয়ে আলোচনা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস ও তাঁর সঙ্গীরা। সেই সময় বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইজরায়েল। কোনও মতে ভয়ংকর বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.