সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুমাস পেরিয়েও চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই যুদ্ধে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। ইজরায়েলি ফৌজের আক্রমণে নিকেশ হয়েছে একের পর এক হামাস নেতা। প্রাণ হারিয়েছেন ইহুদি দেশটির জওয়ানরাও। এখনও পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৯১ জন ইজরায়েলি সৈনিকের। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
উত্তর গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এবার দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। সেখানে লুকিয়ে থাকা হামাস জঙ্গিদের নিধনে লড়াই চালাচ্ছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস। আক্রমণ শানানো হয়েছে দক্ষিণ গাজার বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে (Khan Younis)। সেখানে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আইডিএফ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় পণবন্দিদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তীব্র সংঘর্ষ হয় জঙ্গিদের সঙ্গে। যেখানে আরও দুই ইজরায়েলি জওয়ান আহত হন। কিন্তু মুক্ত করা যায়নি কোনও বন্দিকে। এছাড়াও ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক সিরিয়ান ও হেজবোল্লা যোদ্ধার।
বলে রাখা ভালো, একদিকে লড়াই করে যাচ্ছে হামাস (Hamas)। অন্যদিকে, লেবাননের হেজবোল্লাও আক্রমণাত্মক। হুঙ্কার দিচ্ছে ইরানও। এর মাঝেই ইজরায়েলি ভূখণ্ডকে নিশানা করে মিসাইল ছুঁড়ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হাউথি গোষ্ঠী। অর্থাৎ গাজার পাশাপাশি একাধিক ফ্রন্টে লড়াই করতে হচ্ছে ইজরায়েলকে (Israel)। কিন্তু শত্রুদের মুছে ফেলতে পিছপা হচ্ছে না ইজরায়েলের সেনা। আক্রমণ যেদিক থেকেই আসুক না কেন কড়া জবাব দিচ্ছে তারা। এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের মন্ত্রী গাদি ইসেনকোতের ছেলে ২৫ বছরের গাল ইসেনকোত। তিনি একজন কমান্ডো ছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন গাজা ভূখণ্ডে হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয় বোমার আঘাতে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হওয়া হামলার বদলা নিতে হামাসকে চিরতরে মুছে ফেলার পণ করেছে ইজরায়েল। জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের একের পর এক ডেরা। উত্তর গাজার পর হামলা চলেছে দক্ষিণ গাজারও শরণার্থী শিবিরে। ইহুদি দেশটির আক্রমণে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.