সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে আফগানিস্তান (Afganistan)। গত আগস্টেই দেশটার দখল নিয়েছিল তালিবান (Taliban)। এরপর থেকে ক্রমেই স্পষ্ট হয়েছে সাধারণ আফগান নাগরিকদের দুরবস্থা। দু’বেলার দু’মুঠো খাবার জোগাড় করাই হয়ে দাঁড়িয়েছে দায়। ক্রমেই পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন নিজের সন্তানদের কিংবা নিজেরই শরীরের কোনও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে পেটের জ্বালা জুড়োতে। রাষ্ট্রসংঘের (UN) খাদ্য পরিকল্পনাকারী বিভাগ WFP-র প্রধান ডেভিড বেসলি এমনই দাবি করেছেন।
বিশ্বের অন্যতম গরিব দেশ আফগানিস্তান। সেদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বাস করেন দারিদ্রসীমার নিচে। এঁদের মধ্যে তীব্র খাদ্যাভাবে ভুগছেন দেশের অর্ধেকের বেশি, প্রায় ২.৪ কোটি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য়ের আরজি জানিয়েছেন ডেভিড। তিনি উল্লেখ করেছেন, যেভাবে করোনাকালে বহু দেশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের ধনকুবেররা, সেভাবেই দরিদ্র আফগানদের পাশেও যেন দাঁড়ান তিনি। না হলে আগামিদিনে দেশের অভাব-দৈন্যের ছবিটা আরও ভয়ংকর হতে চলেছে।
ইতিমধ্য়েই অবশ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক। ডেভিড উল্লেখ করেছেন এক আফগান মহিলার কথা, যিনি চরম অভাবে পড়ে নিজের কন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছেন অন্য এক পরিবারের কাছে যাতে তারা অন্তত খেয়েপরে বেঁচে থাকতে পারে। এই করুণ ছবি দেশের সর্বত্র।
উল্লেখ্য, তালিবানের (Taliban) দখলে চলে যাওয়া আফগানিস্তানে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে বসেছে খাদ্য ও অন্যান্য জীবনদায়ী রসদ। বিধ্বস্ত সেদেশের অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধজর্জর দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে গত বছরের অক্টোবর মাসে ১২০ কোটি ইউরো আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সাহায্য়ের হাত বাড়িয়েছে বহু মানবতাবাদী সংগঠন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে গোটা পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে, তা ফের পরিষ্কার হয়ে গেল রাষ্ট্রসংঘের এক শীর্ষকর্তার কথায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.