সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা-কালো হরফে লেগেছে রক্তের রং! বই ধরলেই ধেয়ে আসছে তালিবানের গুলি। কিন্তু তা বলে কি পড়া থামবে? তা হয়তো নয়, শুরু থেকেই আফগান মহিলাদের অদম্য জেদ ও সাহসের পরিচয় পেয়েছে বিশ্ব। এবার শিক্ষার দাবিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই লড়াই আরও তীব্র করে তুলেছে তাঁরা।
বছর দুয়েক আগে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেয় আমেরিকা। দু’দশকের ‘খোলা হাওয়ার’ পর ১৫ আগস্ট, ২০২১ কাবুলিওয়ালার দেশের দখল নেয় ধর্মোন্মাদ তালিবান। শুরু হয় অন্ধকার যুগ। ফলে বাধ্য হয়ে ভিটে ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিতে হয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া সোমায়া ফারুকিকে। বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন বছর একুশের ওই তরুণী। আফগান মহিলাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসংঘের ‘এডুকেশন ক্যাননট ওয়েট’ ক্যাম্পেনের মুখ ফারুকি। চোখে স্বপ্ন নিয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার তরুণীর জন্য লড়াই চলছে।
আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করার পর তালিবান (Taliban) আশ্বাস দিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। যারা নারী স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই কথা যে স্রেফ কথার কথা, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিনের মধ্যেই।
ইতিমধ্যে মেয়েদের উপর একের পর এক কঠোর সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে আফগানিস্তানে। ইতিমধ্যে তাদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়াগুলি জানাচ্ছে, বেশকিছু প্রদেশে বয়স দশ বছরের বেশি হলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মক্ষেত্রেও তাঁরা বঞ্চিত। এমনকী বাস-ট্যাক্সি চালকরা পর্যন্ত তালিবানদের ভয়ে ভাড়া দিলেও মেয়েদের গাড়িতে উঠতে দিতে নারাজ। একটি পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, তালিবান আমলে আফগান সংবাদমাধ্যম থেকে কাজ হারিয়েছেন ৮০ শতাংশ মহিলা কর্মী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.