সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসক-বিরোধী মতানৈক্যে অচলাবস্থা মার্কিন কংগ্রেসে। দীর্ঘ আলোচনার পরও সরকারি খরচ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল বিশ বাঁও জলে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এই জট না কাটলে ৩০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতের পর কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে আমেরিকা। থেমে যাবে সরকারের সমস্ত কাজকর্ম।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সরকারি খরচ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। মূলত, দেশের শাসকদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও বিরোধী রিপাবলিকান দলের আইণপ্রণেতাদের মতানৈক্যেই এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে’র দখল রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল বা রিপাবলিকানদের হাতে। উচ্চকক্ষ বা সেনেটে সংখ্যাগুরু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিল পাশ করানো জটিলতর হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারি খরচ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ না হলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে আমেরিকা। থেমে যাবে সরকারের সমস্ত কাজকর্ম। হাজার হাজার সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে পারবে না বাইডেন (Biden) প্রশাসন। ধাক্কা খাবে অর্থনীতিও। সবমিলিয়ে, সরকার ‘শাটডাউন’। এর ফলে আমেরিকার বিদেশনীতিও প্রভাবিত হবে। কারণ, শাটডাউন চলাকালীন তাইওয়ান বা অন্য কোনও মিত্র দেশকে অস্ত্র জোগান দিতে পারবে না মার্কিন বিদেশ দপ্তর।
উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে শাটডাউন নতুন কিছু নয়৷ ১৯৯৫-’৯৬ সালে বিল ক্লিনটনের জমানায় ২১ দিনের জন্য অচল হয়ে গিয়েছিল সরকার। ২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। এবারও বাজেট বরাদ্দে কংগ্রেস সহমত না হলে প্রায় আট লক্ষ সরকারি কর্মচারী বেতন পাবেন না। তাই কংগ্রেসকে এড়িয়ে তহবিল জোগাড়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন বাইডেন বলেও মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.