সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরণার্থী (Illegal Migrants ) সমস্যা মেটাতে নয়া আইন প্রণয়ন করতে চলেছে ব্রিটেন (Britain) সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন সেদেশের সাধারণ মানুষ। শনিবার লন্ডনের রাস্তায় জড়ো হন প্রায় ২ হাজার মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। প্রতিবাদীদের দাবি, কোনও শরণার্থীকেই বেআইনি বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) প্রশাসনের এই নয়া নীতিকে অমানবিক বলেই মনে করছেন ব্রিটিশ আমজনতা।
প্রতিবাদীদের মতে, ব্রিটেনবাসীরা শরণার্থীদের আপন করে নিতে চান। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাঁরা অন্য দেশে আশ্রয় নিতে চাইছেন, তাঁদের পাশেই থাকবেন ব্রিটেনবাসীরা। প্রতিবাদীদের মতে, “আমাদের সরকার আসলে বর্ণবিদ্বেষী। শরণার্থীদের শুধু ফিরিয়ে দেওয়া নয়, তাদের গায়ে ‘অবৈধ’ তকমাও লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
শরণার্থীদের ঠেকাতে নতুন আইন প্রণয়নের কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন সরকার। ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে ইউনিসেফ। ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে নয়া ব্রিটিশ আইন, এমনটাও দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে।
যদিও সমালোচনাকে সেভাবে পাত্তা দিচ্ছেন না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কয়েকদিন আগেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “করদাতা ব্রিটেনবাসীর উপর শরণার্থীদের ভার চাপিয়ে দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়। এটা বন্ধ করতে হবে। সকলে জেনে রাখুন, ভুল করেও যদি ব্রিটিশ সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে পড়েন, তাহলেও এই দেশে তাঁদের থাকা হবে না।” ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানও জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটেনে আসা শরণার্থীদের রোয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.