সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস, ব্রাসেলসের পর এবার জার্মানি। একটা গোটা বছর শেষ হতে চললেও, জঙ্গিহানার যেন অন্ত নেই। বড়দিনের ঠিক আগেই বার্লিনে ভয়াবহ হামলা কেড়ে নিল কম করে ১২ জনের প্রাণ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৪৮।
সোমবার একটি বড় কালো ট্রাক বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ঢুকে পড়ে। অতর্কিতে প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত মানুষকে নৃশংসভাবে পিষে দিতে থাকে ট্রাকচালক। আচমকা ঘটা এই ঘটনার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উপস্থিত জনতা। পালাবার পথ খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে উঠলেও নারকীয় সেই ট্রাকের হাত থেকে নিজেদের জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন অনেকেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ভিড় বাজারে আচমাই ঢুকে পড়ে কালো রঙয়ের ট্রাকটি। ভিড় উপেক্ষা করেই গতি বাড়িয়ে চলতে থাকার সময় ট্রাকের চাকাতেই পিষে যাচ্ছিলেন বহু মানুষ। কেউ কেউ আবার ছিটকে যাচ্ছিলেন আশেপাশে। গোটা ঘটনার পর এলাকাটি শুধু মৃতদেহ, রক্ত এবং ভাঙা বাজারের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জার্মানিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসে প্যারিসে ঠিক এই ধাঁচেই এক হামলা কেড়ে নিয়েছিল ৮৬ জনের প্রাণ। সেই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল আইএসআইএস। কিন্তু বার্লিনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনার দায় কার তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে জার্মান প্রশাসন। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে গোটা বিষয়টিকে তাঁরা ‘জঙ্গি হামলা’ বলতে রাজি নন। এটা আদৌ কোনও আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা না ‘লোনার অ্যাটাক’ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই জার্মান পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রাক ড্রাইভারের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। সন্দেহভাজন বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আধিকারিকরাও আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তান নিবাসী এক ব্যক্তি চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মানসিক চিকিৎসার জন্য বার্লিনে এসেছিলেন। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলেও অনুমান করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে থেকেই জঙ্গি নিশানায় ছিল বার্লিনের এই ক্রিসমাস মার্কেট। নানা সময়ে এই অঞ্চলে হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা।ন আর এই জন্যই সতর্ক ছিল প্রশাসন। কিন্তু কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও, সোমবার শেষরক্ষা হল না।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.