সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ করতে পারেননি তাঁদের দেওয়া কাজের বরাত। শাস্তি হিসেবে জুটছে প্রস্রাব ও আরশোলা এবং বেল্ট ও বেতের মার৷ বাধ্য হয়েই তাই খেতে হচ্ছে শ্রমিকদের। মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন৷ কর্মক্ষেত্রে এমনই নারকীয় নির্যাতনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অন্য কেউ নয়, এই খবর প্রচার করেছে সেই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমই।
[মধ্যবর্তী নির্বাচনে ধাক্কা, ট্রাম্প ছাঁটলেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে]
দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের গুইঝাউ প্রদেশে এমনই অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে একটি গৃহনির্মাণকারী সংস্থায় কর্মরত শ্রমিকদের। অভিযোগ, মালিকপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী সময়মতো কাজ শেষ না করতে পারলেই এমনই অমানবিক শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে শ্রমিকদের৷ চলছে মধ্যযুগীয় অত্যাচার৷ পারিশ্রমিক আটকে রাখছে কর্তৃপক্ষ৷ মিলছে না জল৷ পিপাসা মেটাতে শৌচাগার থেকে প্রস্রাব পান করতে হচ্ছে হতভাগ্য শ্রমিকদের৷ খিদে মেটাতে জ্যান্ত আরশোলা চিবিয়ে খেতে বাধ্য করেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, শ্রমিকদের বাধ্য করা হচ্ছে মাথা কামিয়ে ফেলতে৷ নির্দেশ মতো কাজ না করলেই কপালে জুটছে বেত ও বেল্টের মার৷ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চিনা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ৷ ফলে জনসমক্ষে আসে গিয়েছে বর্বরতম অত্যাচার।
[ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকবাজের হামলায় মৃত অন্তত ১২, ছড়াল আতঙ্ক]
শুধু তাই নয়, চামড়ার জুতো না পরে কাজে এলে অথবা আনুষ্ঠানিক পোশাক না পরলেও শাস্তি দেওয়ার চল রয়েছে। আইনভঙ্গকারী শ্রমিকদের নামধাম ও অপরাধের বিবরণ লিখে রাখা হয় সাদা কাগজের চিরকুটে৷ শ্রমিকদের জরিমানা দিতে হয় ৫০ ইউয়ান বা ৭.২০ ডলার৷ তবে এমন অমানবিক আচরণ সত্ত্বেও চাকরি ছাড়েননি বেশিরভাগ শ্রমিকই৷ এমনই জানিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম। প্রসঙ্গত, চিনে শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে অতীতেও বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়েছে। নামমাত্র বেতনে অতিরিক্ত সময় কাজ করানো, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে অভ্যস্ত। সে কারণেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশের বদলে নিজেদের ভাগ্যকেই দুষছেন গুইঝাউ প্রদেশের ওই সংস্থাটির নিগৃহীত কর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.