সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হল আং সান সু কি’কে (Aung San Suu Kyi)। সেনা শাসিত মায়ানারের (Myanmar) একটি আদালত এই রায় দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। এর আগে গত আগস্টে ৪টি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন নোবেলজয়ী নেত্রী। তাঁকে ছ’বছরের সাজা শোনানো হয়। তারও আগে গত এপ্রিলে এগারোটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের (Myanmar) ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেল প্রাপক এই নেত্রীর বিরুদ্ধে।
মায়ানমারে সেনার হাতে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হওয়ায় গোটা বিশ্বজুড়েই বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর বিবৃতিতে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার হুমকি দেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সু কি’কে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায় ভারত, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ। মায়ানমার জুড়ে শুরু হয় সেনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রদর্শন। সংঘর্ষে দেশের বহু স্থান কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কিন্তু মুক্তি পাননি সু কি।
ক্যু-এর প্রায় চার মাস পর গত বছরের মে মাসে প্রথমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। ২০২০ সালে বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করে সু কি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। তারপর সেনা অভ্যুত্থান পালটে দেয় গোটা চিত্র। মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানিয়েছিলেন আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.