সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে বিক্ষোভ দমনে বন্দুকের আশ্রয় নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে সামরিক বুটের চাপেও জনতার জয়গান কিছুতেই থামছে না। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের উপরও নেমে এসেছে খাঁড়া। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সোমবার বিবিসি’র এক সাংবাদিককে মুক্তি দিল বার্মিজ পুলিশ।
গত শুক্রবার মায়ানমারের রাজধানী নাইপিদাওয়ের এক আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং করছিলেন বিবিসি’র সাংবাদিক আউং থুরা। তখনই একটি সাদা গাড়িতে করে আসা কয়েক জন সাদা পোশাকের লোক আচমকাই তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। জানা যায়, বার্মিজ সেনার নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। তারপর থেকেই সর্বশক্তিমান জুন্টার উপর পর্দার আড়ালে চাপ বাড়াতে থাকে ব্রিটেন বলে খবর। তার ফলেই অবশেষে সোমবার মুক্তি দেওয়া হল বিবিসি’র ওই সাংবাদিককে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে থুরাকে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কেনই বা তাঁকে মুক্ত করা হল, তা বিশদে জানায়নি বিবিসি। সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য মোট ৪০ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন মায়ানমারে। ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখনও পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি আন্দোলনকারী মারা গিয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষকে।
এদিকে, গতকাল মান্দালয়ের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান হাজার হাজার মানুষ। মায়ানমারে সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপার দাবি জানান গণতন্ত্রকামীরা। ইয়াঙ্গনের লিয়াং শহরতলি থেকে উড়ে শয়ে শয়ে লাল বেলুন। নেত্রী আউং সাং সুকি’র মুক্তির দাবিতে সরব হন প্রতিবাদীরা। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। কিন্তু আং সান সু কি-পন্থীদের দমনে মরিয়া সে দেশের সেনা। আর সেই কারণেই নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.