সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কলকাতা, টরেন্টো থেকে বেঙ্গালুরু। গোটা বিশ্বের বাঙালিকে একসুতোয় বেঁধে দিতে পারে দুর্গাপুজো। দুঃখ-যন্ত্রণা, ভেদাভেদ ভুলে পুজোর পাঁচটা দিন আনন্দে মেতে ওঠে গ্লোবাল বাঙালি। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হয়নি। সুদূর দুবাইয়েও একইরকম ভাবে ধুমধাম করে হল দুর্গাপুজো। একসঙ্গে পূজা-অর্চনা থেকে খাওয়াদাওয়া, গান-বাজনায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল মরুশহর (Dubai)।
প্রতিবারের মতো এবারেও ‘উৎসব’ পুজো কমিটির উদ্যোগে প্রবাসী বাঙালিরা মেতে উঠেছিলেন শারোদৎসবে (Durga Puja 2022)। উৎসবের চতুর্থ বর্ষে মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মা দুর্গার আবাহন। গানে, নাচে, চণ্ডীপাঠে মুখর ছিল দুবাইবাসী বাঙালির সকাল। প্রতিটি আচার, রীতি, প্রথা মেনে ‘উৎসব’ পুজো কমিটি দেবীদুর্গার আরাধনায় মেতে উঠেছিলেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী- ঢাকের তালে আর পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে আল হাবতুর পোলো রিসর্টের হল গমগম করছিল। সঙ্গে ছিল জিভে জল আনা সমস্ত খাবার-দাবার। ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের খাবার, গোটা একটা পরিবারের মতোই একসঙ্গে উপভোগ করেন প্রবাসী বাঙালিরা।
তবে বিগত বছরগুলির থেকে এবারের পুজোটা ছিল খানিকটা ভিন্ন স্বাদের। কেন? কারণ এবার পুজো মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল শান্তির বার্তা দিয়ে। সদস্যরা শুধু নিজেদের আনন্দের কথা ভাবেননি। অন্যদের মুখেও যাতে উৎসবে হাসি ফোটে, সে বন্দোবস্তও করেছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে বস্ত্রদানও করা হয়। আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য একটি সংগঠনের দিকে।
এখানেই শেষ নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল। কলকাতা এবং মুম্বইয়ের শিল্পীরা প্রবাসী বাঙালিদের মাতিয়ে রেখেছিলেন পুজোর ক’টা দিন। তবে দশমীতে ফের বিষাদের সুর। মা দুর্গাকে বরণ করে চোখের জলে বিদায় জানানো হয়। ঢাকের তালে প্রত্যেক বাঙালি বলে ওঠেন, ‘আবার এসো মা’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.