সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াশিংটনে প্যালেস্টাইন কূটনৈতিক মিশন ফের চালু করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন (Joe Biden)। কিন্তু তাতে মার্কিন জঙ্গি-বিরোধী আইনের জটে পড়তে পারেন প্যালেস্টাইনের কর্তারা।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় প্যালেস্টাইন-আমেরিকা সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটেছিল। ২০১৮ সালে ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’-এর ওয়াশিংটন অফিস বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। ওয়েস্ট ব্যাংক আর গাজা স্ট্রিপে আর্থিক অনুদানও কমিয়ে দেন। ২০১৯-এ গঠিত মার্কিন জঙ্গি-বিরোধী আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে অফিস খুললে ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে প্যালেস্টিনিয়ান কর্তাদের। সে দেশে আর্থিক অনুদান চালু করা নিয়েও বাধা পেতে পারেন বিডেন। কারণ ২০১৮ সালে পাস হওয়া টেলর ফোর্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, হিংসাত্মক অপরাধের জন্য ইজরায়েলে বন্দিদের অর্থ দেওয়া বন্ধ না করলে পূর্ণ আর্থিক সাহায্য পাবে না প্যালেস্টাইন। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সম্পর্কের রীতি বদলে ইজরায়েলের সমর্থনে একাধিক পদক্ষেপ করেছিলেন ট্রাম্প। বিডেন প্যালেস্টাইনের সাহায্য করতে চান ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসের পাস করা নানা আইন তাঁর পথে বাধা সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আদেশ দিয়েছেন প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফলে ২০০৬ সালের পর এই প্রথম বুথমুখী হবেন প্যালেস্তিনীয়রা। বলে রাখা ভাল, ২০০৯ সালেই মেয়াদ শেষ হয়েছে আব্বাসের। কিন্তু হামাস ও ফতেহ গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক বিষয়ে বিরোধ না মেটায় নির্বাচন শুরু করা যাচ্ছিল না। এহেন পরিস্থিতিতে ফের প্যালেস্টাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন’-এর (PLO) অফিস খুললে ইজরায়েলের সঙ্গে টানাপোড়েনের শুরু হতে পারে আমেরিকার। কারণ, ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ইজরায়েলী খেলোয়াড়দের হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে PLO’র বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.