বিল গেটস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতার শীর্ষে উঠতে চেষ্টা করেন প্রায় সবাই। কিন্তু, সবার ভালর জন্য অবলীলায় সিংহাসন থেকে নেমে আসার ঘটনা বিশ্বের ইতিহাস খুব কমই আছে। সেই রকম একটি কাণ্ড ঘটালেন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তি।
সারা বিশ্বের মানুষের জন্য সমাজসেবামূলক কাজকর্মে আরও বেশি সময় দিতে চান। এই কারণ দেখিয়েই মাইক্রোসফটের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়ালেন বিল গেটস (Bill Gates)। গত শুক্রবার জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মাইক্রোসফটের জনক বলেন, ‘বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়ালেও এই সংস্থা সবসময়ই আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে থাকবে।’ মাইক্রোসফটের পাশাপাশি ওয়ারেন বাফের সংস্থা ‘বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে’র বোর্ড অফ ডিরেক্টরস থেকেও এদিন সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন বছর পঁয়ষট্টির গেটস।
অন্যদিকে সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে মাইক্রোসফটের চিফ এগজিকিউটিভ সত্য নাদেলা বলেন, ‘এত বছর বিলের সান্নিধ্যে থাকা। ওঁর থেকে নানা বিষয়ে শিক্ষা পাওয়ার যে অভিজ্ঞতা, তা আমার কাছে এক বিশাল বড় পাওনা। আর এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’
বিগত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মাইক্রোসফটের দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে নিজেকে প্রায় সরিয়েই রেখেছিলেন ফোর্বসের বিচারে বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃত বিল গেটস। আরও স্পষ্ট করে বললে, ২০০৮ সাল থেকে স্ত্রী মেলিন্ডার সঙ্গে মিলে শুরু করেছিলেন বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। আর তার কাজেই ঘুরে বেড়াতেন সারা বিশ্ব। কিন্তু, তার ফাঁকেই সংস্থার বিভিন্ন কাজে মাথা গলাতে হচ্ছিল তাঁকে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সমাজসেবা। আর তাই বৈষয়িক কাজে ইতি টেনে বিশ্বসেবাতেই মন দিলেন তিনি। ‘পাতা ঝরা মরশুমে আমরা বৈশাখী হাওয়া, জীবন যুদ্ধের শেষে আমরা সেই একনিমেষে সিংহাসন ছেড়ে যাওয়া।’ কয়েক বছর আগে নচিকেতা চক্রবর্তীর এই গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। শনিবার এই গানের কথাগুলোকেই সত্যি প্রমাণ করলেন বিল গেটস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.