সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশমের চাহিদার জন্য বিশ্বের ফ্যাশানের দরবারে মিঙ্কের আলাদা একটা কদর রয়েছে। কিন্তু, করোনা মহামারীর কারণে বেজির মতো দেখতে সেই প্রাণীকুলের জীবনই আজ বিপন্ন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের থেকে মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ রুখতে লক্ষ লক্ষ মিঙ্ককে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে তালিকায় সবথেকে উপরে রয়েছে ডেনমার্কের নাম। কিছুদিন আগে সেদেশের ১২ জন নাগরিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মেলে যার উৎস মিঙ্ক (mink) ছিল বলে জানানো হয়েছিল। যদিও সংখ্যাটা আর বেশি বলে দাবি করেছিলেন ডেনমার্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাগনুস হয়নিক। এর ফলে গোটা দেশে এক কোটি ৫০ লক্ষ মিঙ্ককে নির্বিচার হত্যা করে গণকবর (mass grave) দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই আর বিপত্তি দেখা দিয়েছে বলে খবর। সরকারের দায়সারাভাবে কাজের ফলে মৃতদেহগুলি কবর থেকে উঠে নতুন করে করোনার সংক্রমণ ছড়াবে বলেই অভিযোগ পরিবেশবিদদের।
এপ্রসঙ্গে ডেনমার্ক (Denmark) পুলিশের জাতীয় মুখপাত্র টমাস ক্রিস্টেনসেন (Thomas Kristensen) জানান, মিঙ্কগুলির মৃতদেহ পচে গেলেই সেখান থেকে গ্যাসের সৃষ্টি হবে। ফলে কবরের মাটি আলগা হয়ে সবথেকে খারাপ যে ঘটনাটি ঘটবে তাহল মিঙ্কগুলির মৃতদেহ মাটির উপরে উঠে আসবে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনা রুখতে ডেনমার্কের পশ্চিম জুটল্যান্ড এলাকার সেনা প্রশিক্ষণের মাঠে যেখানে হাজার হাজার মিঙ্ককে কবরস্থ করা হয়েছে সেখানে নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মিটার গর্ত করে কাটা কবরে যেখানে মৃতদেহগুলি পোঁতা হয়েছে তার উপরে আরও মাটি ফেলা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে উত্থাপন করে ক্রিস্টেনসেন বলেন, এটা প্রাকৃতিক পদ্ধতি। দুর্ভাগ্যবশত এক মিটার মাটি মানেই অনেক ক্ষেত্রে এক মিটার নয়। এটা নির্ভর করে মাটিটা কী ধরনের তার উপরে। সমস্যা হল পশ্চিম জুটল্যান্ডের বালি মাটি খুবই হালকা। তাই ওইখানে থাকা মিংকগুলির গণকবরের উপরে আরও মাটি ফেলা হচ্ছে।
পরিবেশবিদদের অভিযোগ, অনেক মিঙ্কের মৃতদেহ লেক ও ভূগর্ভস্থ জলাধারের খুব কাছে কবর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভূগর্ভস্থ জল ও পানীয় জলে ওই মৃতদেহগুলি থেকে নিঃসৃত পদার্থ মিশে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফল হতে পারে মারাত্মক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.