সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিখোঁজ নয়, জাকার্তা (Jakarta) এয়ারপোর্ট থেকে ওড়ার পাঁচ মিনিট পরে ৬২ জন যাত্রীসহ সমুদ্রেই ভেঙে পড়েছে ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) বিমানটি। সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করা না হলেও, ঘটনার পরদিনই উপকূলে ভেসে আসতে শুরু করেছে যাত্রীদের দেহাবশেষ থেকে শুরু করে বিমানের ভাঙা টুকরো, সবই। উদ্ধারকারী দল থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক – প্রত্যেকেরই ধারণা, সমুদ্রেই বিমানটির সলিলসমাধি ঘটেছে। বেঁচে নেই বিমানের কোনও যাত্রীই!
SJY 182 নামে শ্রীবিজয়া এয়ার ফ্লাইটের (Sriwijaya Air flight) ওই যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ক্রু–মেম্বার–সহ ৬২ জন যাত্রীকে নিয়ে জাকার্তা থেকে পন্টিয়ানাকের (Pontianak) উদ্দেশে রওনা হয়। বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন শিশুও ছিল। কিন্তু জাকার্তার Soekarno-Hatta বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু পরই আচমকা সেটির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। আধিকারিকরা কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কথা স্বীকার না করলেও সূত্রের খবর, যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার আগে সেটি ১১ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছিল। কিন্তু ৬০ সেকেণ্ডের মধ্যে ৩০০০ ফুটেরও নিচে নেমে গিয়েছিল। তারপর আচমকাই সেটির সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বর্তমানে জাভা সমুদ্রের তিনটি জায়গা চিহ্নিত করে চলছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টা। ১০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকারী, নৌসেনা, ১০টি যুদ্ধজাহাজকে এই কাজে নামানো হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জাকার্তার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এদিন উপকূলে দু’টি ব্যাগ ভেসে ওঠে। তার মধ্যে একটিতে ছিল কোনও যাত্রীর জিনিসপত্র। অন্যটিতে, ছিল এক যাত্রীর দেহাবশেষ।’’
এদিকে, পন্টিয়ানাকের বিমানবন্দরে উৎকণ্ঠার মধ্যেই অপেক্ষা করছেন বিমানে থাকা যাত্রীদের আত্মীয়রা। ইয়ামান জাই নামে এক ব্যক্তি নিজের এক সন্তানের ছবি দেখিয়ে জানান, ‘‘বিমানটিতে আমার স্ত্রী এবং তিন সন্তান ছিল। ঘটনার কিছু মুহূর্ত আগেই সন্তানদের একটি ছবিও পাঠিয়েছিল আমার স্ত্রী। তারপরই এই হৃদয়বিদারক ঘটনা।’’ আপাতত সরকারিভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানটির ভেঙে পড়ার কথা মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.