সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। সেনার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি গণতন্ত্রকামী। এহেন ডামাডোলে নিজের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ওই দেশ ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেন।
শুক্রবার এক বিবৃতি যোগে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রক বলেছে, “আমরা ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত মায়ানমার ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অত্যন্ত জরুরি কাজ না থাকলে আপনারা ওই দেশ থেকে বেরিয়ে আসুন।” বিশ্লেষকদের মতে, গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকেই পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার। এছাড়া, গণবিক্ষোভ সামাল দিতে সম্প্রতি বিদ্রোহী সংগঠন ‘আরকান আর্মি’-কে জঙ্গিগোষ্ঠীর তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে সেনা। এর ফলে ওই সংগঠনটির সঙ্গে লড়াই করে আপাতত শক্তি খরচ করতে হবে না মায়ানমারেরে সেনাবাহিনীকে। এহেন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের পণবন্দি করার আশঙ্কা বেড়েছে অনেকটাই। তাছাড়া, দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রশাসনের পালটা অভিযানে সে দেশে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে লন্ডনের সামনে। তাই আপাতত নিজের নাগরিকদের মায়ানমার ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। কিন্তু আন সাং সু কি-পন্থীদের দমনে মরিয়া সে দেশের সেনা। আর সেই কারণেই নির্বিচারে দমন পীড়ন চালাচ্ছে তারা। এপর্যন্ত সেনার গুলিতে ৬০ জনের বেশি প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রবার বুলেটের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। এদিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এনএলডি নেত্রী আং সাং সু কি-র (Aung San Suu Kyi) আইনজীবী হিন মাউং জ। তাঁর আশঙ্কা, সু কি-কে নতুন ভাবে আইনি জালে জড়াতে পারে সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.