সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি-চিনি ভাই ভাই, এ স্লোগানের দিন গিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের বিন্দুমাত্র উন্নতি নেই। তারই প্রমাণ মিলল চিনা মিডিয়ার বিশেষণে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের জন্য সেখানে বলা হল বিদ্রূপকারী, রূঢ়।
গতবছর এনএসজিতে ভারতের প্রবেশ নিয়েই চিনা বাধার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়। তারপর একাধিকবার ভারতের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে চিন। এমনকী মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রেও চিন বাধা দেয়। সন্ত্রাস প্রশ্নে ধরি মাছ, না ছুঁই পানি অবস্থান নিলেও, ভিতরে ভিতরে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েই চলে চিন। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনে ট্রাম্প পর্ব শুরু হওয়ার পরই পুরো দৃশ্যে বদলে যায়। চিনের ঔদ্ধত্যে লাগাম টানতে সক্রিয় হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ-চিন সাগর থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে চিনের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপসে যেতে রাজি নন তিনি। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্পের কঠোর মনোভাবের জেরে নরম হয়েছে পাকিস্তানও। কিন্তু এখনও ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব গোপন রাখতে পারছে না চিন। তাঁদের আধিকারিকরা মুখে কিছু না বললেও, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের জন্য রীতিমতো অসম্মানজনক মন্তব্য তোলা থাকল চিনা সংবাদপত্রে।
সম্প্রতি ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিনা কর্তারা। সেই বৈঠক প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য সেখানকার এক সংবাদপত্রের। চিনা কর্তাদের পণ্ডিত-সমালোচক হিসেবে বলা হলেও অসম্মানই তোলা ছিল ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য। এমনকী তাঁদের রূঢ়ও বলা হয়েছে। এনএসজিতে ভারতের ঢোকা নিয়ে চিনের অবস্থানেই যে ফাটলের সূত্রপাত তা একরকম মেনেও নেওয়া হয়েছে চিনা মিডিয়ায়। তবে সে সমস্যাকে দ্বিপাক্ষিক না বলে বহুস্তরীয় বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। চিনা মিডিয়ার দাবি, দুই দেশের বন্ধুত্ব নিয়ে ভারতীয়দের মনোভাব বেশ নেতিবাচক। আর তাই এ ধরনের বিশেষণই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
যদিও ভারতের তরফে এর কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। অপমান বা তাচ্ছিল্যের মৌখিক জবাবের বদলে আলোচনার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ভারতীয় কূটনীতিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.