সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য, হংকং (Hong Kong) নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে চিন (China)। এই আইন মোতাবেক, গণতন্ত্রের দাবি করা বিচ্ছিন্নতাবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের সমান। এপর্যন্ত কয়েকশো প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বহু মানুষকে প্রথমবারের জন্য নতুন নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিপ্লবের আগুন যেন নিভছে না। তাই বিপ্লবের মশালে জল ঢালতে কোমর বেঁধে নামছে জিনপিং প্রশাসন। জানা গিয়েছে, উইঘুর মুসলিমদের মতো এবার হংকংবাসীকেও দেশাত্মবোধের পাঠ দেবে বেজিং। তাই শেনঝেনে জাতীয় নিরাপত্তা শিক্ষাকেন্দ্র খুলেছে চিন। সেখানেই ‘মগজধোলাই’ করা হবে যুব সম্প্রদায়কে, এমনটাই খবর।
চিনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, হংকং ও ম্যাকাউয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে চিনা সংবিধান ও জাতীয়তবোধ নিয়ে জ্ঞান বাড়াতে এই শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দু লিং জানিয়েছেন, হংকং ও ম্যাকাউয়ের যুব সমাজকে দেশাত্মবোধ ও জাতীয় পরিচয়ের বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্য এই বিশেষ কেন্দ্র। চিনা সরকারের মতে, দেশাত্মবোধের অভাবেই হংকংয়ে প্রতিবাদীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকার বিরোধী মনোভাব, হিংসা ছড়ানো, উসকানি দেওয়ার কারণ জাতীয়তাবোধের অভাব। হংকংয়ে বিদ্রোহের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী মনোভাব ধাক্কা খেয়েছে। ড্রাগনের সার্বভৌমত্বও প্রশ্নের মুখে।
১৯৪৯ সালে চিনা কমিউনিস্ট সরকারের জমানার সূচনা থেকেই দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যুব সমাজকে মাওবাদে উদ্বুদ্ধ করার প্রবণতা দেখা দেয়। দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার তাগিদ আরও বাড়ে ১৯৮৯ সালে তিয়ানআনমেন স্কোয়্যার বিদ্রোহের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষে চিনা কমিউনিস্ট শাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে গর্জে উঠেছিলেন। তখন বিদ্রোহীদের ধরে ধরে ‘মগজধোলাই’ করত কমিউনিস্ট সরকার। জিনপিংয়ের (Xi Xinping) আমলে এটা রুটিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাঁরই মগজধোলাই হবে। যদিও চিনা প্রশাসন মনে করে, গত তিন দশক ধরে এই মডেল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে সাফল্যের সঙ্গে অনুগত নাগরিকে পরিণত করেছে। যার জেরে চিনে কোনও বিপ্লবের নামগন্ধ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.